শরীয়তপুরের ডামুড্যা ও গোসাইরহাটে অন্তত ১৩টি বৈদ্যুতিক মিটার চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় চোরেরা খুলে নেয়া মিটারের পাশে পলিথিনে মোড়ানো কাগজে মোবাইল নম্বর লিখে রেখে গিয়েছে।
স্থানীয়, ভুক্তভোগী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শিধলকুড়া ইউনিয়নের শিধলকুড়া বাসস্ট্যান্ড, চর পাথালিয়া ও গোসাইরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বৈদ্যুতিক মিটার চোর চক্রের কিছু সংঘবদ্ধ সদস্য রয়েছে, যারা বিভিন্ন জায়গার বৈদ্যুতিক মিটার খুলে নিয়ে লুকিয়ে রাখে এবং খুলে নেয়া মিটারের স্থানে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের নম্বর রেখে যান। তাদের চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিলে মেলে মিটারের সন্ধান।
এমন একটি চক্রের সদস্যরা গত রবিবার (২০শে এপ্রিল) দিবাগত রাতে শিধলকুড়া এলাকার সজল মাদবর, আলামিন আকন, চর পাথালিয়া এলাকার মনির মীর, কাজল বরু,রাসেল ঢালীসহ ডামুড্যা ও গোসাইরহাট উপজেলার অন্তত ১৩ জন গ্রাহকের বৈদ্যুতিক মিটার খুলে নিয়ে যায়। এ সময় চক্রটি সেখানে পলিথিনে মুড়িয়ে একটি মোবাইল নম্বর রেখে যান।
ভুক্তভোগীরা জানান, সোমবার (২১শে এপ্রিল) সকালে তাদের প্রতিষ্ঠানে এসে দেখে বিদ্যুতের মিটার নেই। সেখানে একটি মোবাইল নম্বর রাখা আছে। বিষয়টি তারা বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তাকে জানিয়েছে।
ভুক্তভোগী রাসেল ঢালী জানান, রাতে রাইস মিলে বিদ্যুৎ দেখে গেলাম, সকালে এসে দেখি মিটার নেই। চোরের সাথে কথা হয়েছে, টাকা দিলে মিটার দিয়ে দিবে। স্থানীয়রা জানান, এমন চক্রের কথা আগে শুনেছি। এলাকায় চুরির এমন ঘটনা লক্ষ্য করলাম। চক্রটি একটি মোবাইল নম্বর রেখে গিয়েছে। তাদের টাকা পাঠালে মিটার ফেরত পাওয়া যাবে।
ডামুড্যা পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম সুবীর কুমার দত্ত বলেন, এই চক্রটি বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে। তারা মিটার খুলে নিয়ে আশেপাশে লুকিয়ে রেখে মোবাইল নম্বর রেখে যায় টাকার জন্য। এমন একটি চক্র ডামুড্যা এলাকার তিনটি মিটারসহ পাশের গোসাইরহাটেও বেশ কিছু মিটার চুরি করেছে এমন অভিযোগ পেয়েছি। আমাদের পক্ষ থেকে পুলিশকে অবগত করা হয়েছে। আর ভুক্তভোগীরাও থানায় অভিযোগ করেছে। চক্রটিকে ধরার চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান মানিক বলেন, বেশকিছু বৈদ্যুতিক মিটার চুরির খবর পেয়েছি। ভুক্তভোগীরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। আমরা চক্রটির সদস্যদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি।
ডিবিসি/অমিত