ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গাজা শহর দখলের যে পরিকল্পনা করছেন, তাকে আন্তর্জাতিক মহল তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। জাতিসংঘ এই পদক্ষেপকে আরেকটি মহাবিপর্যয় হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। রোববার (১০ই আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু দাবি করেন, এই সামরিক অভিযান যুদ্ধ শেষ করার সবচেয়ে দ্রুত উপায়। তার মতে, এটি হামাসকে ধ্বংস এবং জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য অপরিহার্য।
তবে এই পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক আইনে আরও বড় ধরনের লঙ্ঘনের কারণ হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, চীন এবং ফ্রান্সসহ অনেক দেশ। জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব মিরোস্লাভ জেনচা বলেন, এই পদক্ষেপ বাস্তুচ্যুতি, হত্যা এবং ধ্বংসযজ্ঞ আরও বাড়াবে।
এদিকে, জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় অফিসের প্রধান রমেশ রাজাসিংহাম গাজার পরিস্থিতিকে বিশুদ্ধ অনাহার বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি জানান, জুলাই মাস থেকে গুরুতর অপুষ্টিতে আক্রান্ত ৩৭ জন শিশু মারা গেছে। ইউনিসেফও জানিয়েছে, জুলাই মাসে প্রায় ১২,০০০ শিশু তীব্র অপুষ্টিতে শনাক্ত হয়েছে, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ মাসিক সংখ্যা।
যুক্তরাষ্ট্র এই ইস্যুতে তার মিত্রদের থেকে ক্রমশ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। যদিও তারা জিম্মিদের মুক্তির জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করার দাবি করছে, তবে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডরোথি শিয়া অন্যান্য দেশগুলোকে মিথ্যা ছড়ানোর জন্য অভিযুক্ত করেছেন।
নেতানিয়াহু তার রাজনৈতিক অবস্থান ধরে রাখতে এই পরিকল্পনা করছেন বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। হামাস বলছে, জিম্মিদের বাঁচানোর একমাত্র উপায় হলো যুদ্ধ বন্ধ করে শান্তি চুক্তি করা। নেতানিয়াহু অবশ্য গাজায় অনাহার সংকটের অভিযোগ অস্বীকার করে এর জন্য হামাসকে দায়ী করেছেন। এই পরিস্থিতিতে নেতানিয়াহু ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে একটি বৈঠক হয়েছে, যেখানে গাজা দখলের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়। সূত্র: সিএনএন
ডিবিসি/এইচএপি