জামানত ছাড়া ক্ষুদ্র ঋণ দেয়ায় ব্যাংকগুলোর অনীহার কারণে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে দেশের প্রান্তিক মানুষের ব্যবসায়ী উদ্যোগ।
নারী উদ্যোক্তা ঋণে ব্যাংকের বড় কর্তারা ইতিবাচক কথা বললেও বাস্তবে গ্রামীণ নারীর অভিজ্ঞতা ভালো নয়। এ অবস্থায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা করতে ক্ষুদ্র ঋণের বিশেষ নতিমালার তাগিদ দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা।
ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে গ্রামীণ নারী উদ্যোক্তাদের অভিজ্ঞতা বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। গ্রামীণ নারী উদ্যোক্তরা জানান, জামানতসহ নানা অজুহাতে তারা ঋণ দিতে চায় না। মূলত ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে সারা দেশের গ্রামীণ নারী ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের অভিযোগ একই রকম।
বিতরণ ও নজরদারিতে জনবলের ব্যয় বিবেচনায় গ্রামে ঋণ দেয়ায় উৎসাহি নয় ব্যাংকগুলো। আর সে সুযোগে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে চড়াসুদে ঋণের ব্যবসা করছে এনজিওরা।অথচ একটি সমন্বিত উদ্যোগ নিলে দেশের ব্যাংকগুলোই পারে গ্রামীণ ক্ষুদ্র উদ্যোগগুলোকে এগিয়ে নিয়ে দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী ভিত দিতে।
চতুর্থ প্রজন্মের সীমান্ত ব্যাংক জানালো নারী উদ্যোক্তাদের জন্য এমনই এক ব্যক্তিক্রমী ঋণ উদ্যোগের কথা। এর আওতায় গ্রামীণ নারী উদ্যোক্তাদের দেয়া হবে এটিএম কার্ড।
এ বিষয়ে সীমান্ত ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোখলেসুর রহমান জানান, যেকোনো নারীকে তারা ঋণ দিতে আগ্রহী। তবে, তাদের প্রমাণ করতে হবে তারা ব্যবসা বা ক্ষুদ্র শিল্পের সঙ্গে জড়িত। আর গ্রামীণ এসব নারী ট্রেড লাইসেন্স না থাকা প্রসঙ্গে তিনি জানান, ট্রেড লাইসেন্স না থাকলেও পরবর্তীতে সে ব্যবস্থা করা হবে। অর্থনীতিতে অবদান রাখা এসব নারীদের ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেয়া হবে বলেও জানান সীমান্ত ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী।
অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন এমন উদ্যোগ ইতিবাচক। তবে, ঋণ ব্যবস্থাপনাকে লাভজনক করতে না পারলে এ উদ্যোগ কেবল পাইলট প্রকল্পেই আটকে থাকবে।
গ্রামীণ অর্থনীতিতে ব্যাংকের সরাসরি বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে দেশের সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে একটি পরিকল্পিত ঋণ ব্যবস্থা চালুর করার কথাও বলছেন ব্যাংকার ও বিশ্লেষকরা।