একজন ফুটবল তারকার অন্যতম স্বপ্ন থাকে ব্যালন ডি’অর ট্রফি জেতা। স্বপ্নের এ অর্জনকে সব সময় কাছেই রাখতে চান ফুটবলের এসব মহারথীরা। এ ট্রফি জেতার অর্থও নিজের প্রয়োজনেই খরচ করে থাকেন তারা।
এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম উদাহরণ তৈরি করেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ২০১৭ সালে এক নিলামে ইসরায়েলের সবচেয়ে ধনবান ব্যক্তির কাছে নিজের পাঁচ ব্যালন ডি’অর ট্রফির একটি বিক্রি করেছিলেন তিনি। সেই নিলামে ২০১৩ সালে জেতা ব্যালন ডি’অর ট্রফির রেপ্লিকাটি বিক্রি হয়েছিল।
এ ট্রফি বিক্রির সব অর্থ দুস্থ শিশুদের চিকিৎসার জন্য ব্যয় করা হয়েছিল। এমন নজির রাখায় প্রশংসায় ভাসছেন রোনালদো।
ক্যারিয়ারে পাঁচটি ব্যালন ডি’অর জিতেছেন পর্তুগিজ তারকা। একটা সময় লিওনেল মেসির সঙ্গে ব্যালন ডি’অরের লড়াইয়ে সমানে সমান টক্কর ছিল তাঁর। মেসির দখলে অবশ্য নিজের ব্যালন ডি’অরের সংখ্যা সাতটি।
সাধারণত, যে খেলোয়াড়েরা ব্যালন ডি’অর জেতেন, আয়োজক সংস্থা ফ্রান্স ফুটবল সাময়িকী তাঁদের সেই ট্রফির একটি রেপ্লিকা দিয়ে থাকে। সেই রেপ্লিকা খেলোয়াড়ের ক্লাবে সংরক্ষিত থাকে অথবা জয়ী খেলোয়াড় সেটি নিজের সংগ্রহে রেখে দেন।
সংবাদ মাধ্যম মার্কা জানিয়েছে, ২০১৩ সালে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ব্যালন ডি’অর জেতার পর সেই ট্রফির রেপ্লিকা নিলামে তুলে তা দুস্থ শিশুদের কল্যাণে ব্যয় করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। পরে লন্ডনে আয়োজিত নিলামে সেটি কিনে নিয়েছিলেন ইসরায়েলের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি আইদান ওফার। দাম উঠেছিল ছয় লাখ মার্কিন ডলার।
অবশ্য ব্যালন ডি’অরের ট্রফির রেপ্লিকা নিলামে ওঠাটা নতুন কিছু নয়। অতীতে আলফ্রেডো ডি স্টেফানোর ১৯৫৭ ও ১৯৫৯ সালে জেতা দুটি ব্যালন ডি’অর ট্রফিও নিলামে উঠেছিল। প্রথমটি বিক্রি হয়েছিল ৬০ হাজার ৮০০ মার্কিন ডলারে। দ্বিতীয়টির দাম উঠেছিল ৫৪ হাজার ৪০০ ডলার। স্টেফানোর ‘সুপার ব্যালন ডি’অর ট্রফিটিও নিলামে উঠেছিল। সেটি বিক্রি হয়েছিল ১ লাখ ৮৭ হাজার ডলারে।