ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত কপ-৩০ জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনে একটি প্যাভিলিয়নে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২০শে নভেম্বর) সম্মেলনস্থলে আগুন লাগার পর আলোচনা ব্যাহত হয়। আন্তর্জাতিক জলবায়ু প্রচেষ্টা জোরদার করার জন্য একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করার সময় সেখানে আগুন লাগে। এরপর দ্রুত লোকজনকে সরিয়ে নেয়া শুরু হয়।
দিনের শুরুতে শীর্ষ সম্মেলন থেকে একটি চুক্তির আহ্বান জানিয়েছিলেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
এদিকে, কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একটি প্রদর্শনী প্যাভিলিয়নে আগুন লাগার পর, কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি এবং নিরাপত্তা কর্মীরা বিশাল ভবনে থাকা হাজার হাজার প্রতিনিধিকে বাইরে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
সম্মেলনে অন্তত ২০০টি দেশের হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। আগুন লাগার পর সেখানে ধোঁয়া উড়তে থাকে। লোকজনকে ছুটে বাইরে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়।
এদিকে, ব্রাজিলের আমাজন শহর বেলেমে অনুষ্ঠিত শীর্ষ সম্মেলনটি জলবায়ু অর্থায়ন বৃদ্ধি এবং জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে দূরে সরে আসার মতো বিষয়গুলোতে একটি চুক্তি করতে বুধবারের সময়সীমা পার করে ফেলেছে।
অন্যদিকে, জানানো হয়, বৃহস্পতিবার ব্রাজিল দেশের সরকারগুলোর সামনে একটি খসড়া চুক্তি আনে। যেখানে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে দূরে সরে আসার জন্য কোনো রোডম্যাপ অন্তর্ভুক্ত ছিল না। দুই আলোচক রয়টার্সকে জানিয়েছেন, যদিও নথিটি নিয়ে এখনও আলোচনা শেষ হয়নি।
রয়টার্স বলছে, জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে নির্গমন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে তাপ আটকে রাখে এবং উষ্ণায়নের ক্ষেত্রে এটিই সবচেয়ে বড় কারণ।
সোমবার ব্রাজিলের বেলেম শহরে দুই সপ্তাহব্যাপী কপ-৩০ সম্মেলন শুরু হয়।
ব্রাজিলের পথ ধরে, উন্নত ও উন্নয়নশীল উভয় দেশসহ কয়েক ডজন দেশ জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে দেশগুলোকে কীভাবে দূরে সরে যেতে হবে তা নির্ধারণ করে একটি রোডম্যাপ তৈরির জন্য চাপ দিচ্ছে।
কিছু জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদনকারী দেশসহ অন্যান্যরা এর বিরোধিতা করছে।
ডিবিসি/এমইউএ