দক্ষিণ আমেরিকা পর্বের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার মধ্যকার ম্যাচটি গোল শূন্য ড্র হয়েছে। বছরের তৃতীয় সুপার ক্লাসিকোতে পয়েন্ট ভাগাভাগিতেই শেষ হয় দুই দলের এই মহারণ।
কোপার ফাইনালের পর অমিমাংসিত থেকে যায় বাছাই পর্বের ম্যাচটি। এরই মধ্যে কাতারের টিকিট কেটেছে নেইমাররা। এই ম্যাচ জিতলে কাতার যাওয়া নিশ্চিত হতো মেসিদের। তবে তা না হওয়ায় অপেক্ষা আরও বাড়ল আলবিসেলেস্তেদের।
নেইমার ছিলেন না, মাঝমাঠে যার সঙ্গে গড়ে ওঠে তার রসায়ন, সেই লুকাস পাকেতাও ছিলেন এদিন তার ছায়া হয়েই। নিষেধাজ্ঞার কারণে ছিলেন না ক্যাসেমিরো, তার বদলে দলে আসা ফ্যাবিনিও ছাপ ফেলতে পারেননি দলের মাঝমাঠে। ব্রাজিলের বলের দখলেও ছাপ পড়েছে বেশ। শুরুর দশ মিনিটে সেলেসাওরা বলের দখলেই ছিল কেবল মিনিট তিনেকের মতো সময়। পরে সেটা কাটিয়ে উঠেছে দলটি, তবে পুরো ম্যাচে বলের দখলে আর্জেন্টিনার আধিপত্যই ছিল বেশি। খেলা শেষে ৫৭ শতাংশ বলের দখল সাক্ষ্য দেয় তারই।
ম্যাচে নেইমারবিহীন ব্রাজিলের সঙ্গে বেশ কয়েকবার গোল করার সুযোগ পেলেও সেগুলো কাজে লাগাতে পারেনি মেসিরা। অন্যদিকে, ব্রাজিলও ভালো কিছু সুযোগ হাতছাড়া করেছে। ম্যাচের প্রথম দিকে আর্জেন্টিনার বক্সে ওতামেন্ডির ট্যাকলে ব্রাজিলের পেনাল্টি পাওয়ার সুযোগ তৈরি, কিন্তু রেফারি তা লক্ষ্য করেনি। এমনকি, ভিএআর চেক করার পরও রেফারির সিদ্ধান্তের কোনো পরিবর্তন হয়নি।
এরপর ব্রাজিলের হয়ে ভিনিসিয়াস ভালো একটি সুযোগ তৈরি করলেও গোলবার মিস করায় তা কাজে আসেনি। আর্জেন্টাইন সুপারস্টার মেসি কয়েকটি সুযোগ পেলেও এদিন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্সের মুখে বারবার আটকে যায়। প্রথমার্ধে ব্রাজিল খুব বেশি গোলের সুযোগ তৈরি করতে না পারলেও আর্জেন্টিনাকে ঠিকই প্রতিরোধ করেছে। তবে, ম্যাচের একদম শেষের দিকে মেসির একটি সুযোগ আটকে দেয় ব্রাজিলিয়ান গোল রক্ষক এলিসন বেকার।
এর আগে, কোপার ফাইনালের পর ব্রাজিল আর্জেন্টিনার দেখা হয়েছিলো আরেকবার। সেপ্টেম্বরে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ব্রাজিলের মাঠে খেলা শুরুর পাঁচ মিনিট পরই স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের হস্তক্ষেপে ম্যাচটি স্থগিত হয়। সেটি নিয়ে তদন্ত করছে ফিফা।