ব্রাজিল থেকে প্রতি কেজি গরুর মাংস ১২০ থেকে ১২৫ টাকায় (এক ডলার) আমদানি করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো দিয়াজ পেরেজ। একইসাথে তিনি উল্লেখ করেন, ব্রাজিলের বিভিন্ন কোম্পানি, বিশেষ করে মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠানগুলো, বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে এবং মিট প্রসেসিং কারখানা স্থাপন করতে আগ্রহী।
মঙ্গলবার (১৯শে আগস্ট) বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ-৩০ উপলক্ষে সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সাথে এক মতবিনিময় সভায় রাষ্ট্রদূত এই কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো জানান, ব্রাজিল স্বল্পমূল্যে বাংলাদেশে গরুর মাংস রপ্তানি করতে চায় এবং এ বিষয়ে আলোচনা অনেকদূর অগ্রসর হলেও সরকার পতনের পর প্রক্রিয়াটি থেমে আছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ সরকার যদি ব্রাজিলের মাংসের জন্য হালাল সার্টিফিকেট প্রদানের প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করে, তবে রপ্তানি পুনরায় শুরু করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, হালাল সার্টিফিকেট পেলে ব্রাজিলের বেসরকারি উদ্যোক্তারা বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করতে আগ্রহী হবে। বাংলাদেশের গবাদি পশু ও দুধের উন্নয়নেও ব্রাজিল অংশীদার হতে চায় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রদূত আরও জানান, কৃষি খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশ ব্রাজিলের প্রযুক্তিগত সহায়তা নিতে পারে। একইসাথে, বাংলাদেশ থেকে চামড়া ও জুতার আমদানি আরও বাড়াতে তার দেশ আগ্রহী। আগামী অক্টোবরে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ-ব্রাজিল তৃতীয় ফরেন অফিস কনসালটেশনে বাণিজ্য, বিনিয়োগসহ দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার আশা প্রকাশ করেন তিনি। খেলাধুলা, কৃষি, স্বাস্থ্য ও প্রতিরক্ষা খাতেও ব্রাজিল বাংলাদেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করতে প্রস্তুত বলে জানান তিনি। এর আগে, রাষ্ট্রদূত ফার্নান্দো দিয়াজ পেরেজ আগামী নভেম্বরে ব্রাজিলের বেলেমে অনুষ্ঠিতব্য কপ-৩০ সম্মেলনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ধনী দেশগুলো দায়ী হলেও তারা প্রতিশ্রুত অর্থ সহায়তা দিতে আগ্রহী নয়। তবে এর জন্য বসে না থেকে সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি এবং এক্ষেত্রে সাংবাদিকদের ভূমিকার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
মতবিনিময় সভায় সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের নির্বাহী সভাপতি আসাদুজ্জামান সম্রাট, সাধারণ সম্পাদক কেরামত উল্লাহ বিপ্লব এবং বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সভাপতি মাছুম বিল্লাহসহ অন্যান্য সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ডিবিসি/এএমটি