নিহত মনির সদর উপজেলার উড়শিউড়া এলাকার মোল্লাবাড়ির মৃত খুরশিদ মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় দিনমজুর ছিলেন। নিহত মনিরের সাত বছর ও দেড় বছর বয়সী দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

নিহতের স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, রবিবার দুপুরে মনিরের ঘরের সামনে তার বড় ভাই বাবুল মিয়ার স্ত্রী দুবেলা বেগম মাটির চুলায় রান্না করছিলেন। রান্নার ধোঁয়া মনিরের ঘরে ঢুকে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়লে এ নিয়ে মনিরের সঙ্গে তার ভাবির কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে মনিরের বড় ভাই বাবুল ও ভাতিজা শাওন মনিরকে বেধড়ক মারধর করেন। একপর্যায়ে লাঠি ও ইট দিয়ে তার মাথায় গুরুতর আঘাত করলে তিনি গুরুতর আহত হন।

গুরুতর আহত অবস্থায় পরিবারের সদস্যরা মনিরকে উদ্ধার করে প্রথমে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় বিকেলে তাকে পার্শ্ববর্তী সেন্ট্রাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তিনি মারা যান। মনিরের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে অভিযুক্তরা গা ঢাকা দিয়েছে।

এ বিষয়ে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম. এম. রকিবুর রেজা জানান, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী পারিবারিক কলহের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহতের মরদেহ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন এবং অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশের অভিযান চলছে।

ডিবিসি/এএনটি