ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে মেঘনা নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলোতে আবারও তীব্র নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। প্রমত্তা মেঘনা নদীর ভাঙনে গত কয়েকদিনে উপজেলার পানিশ্বর গ্রামের অন্তত ১০ থেকে ১৫টি ঘর-বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
এতে মানচিত্র থেকে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম। ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে আরও শতাধিক পরিবার ও কৃষি জমি। দ্রুত ভাঙন ঠেকানো ও স্থায়ী প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের। ভাঙন রোধে একটি প্রকল্প তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বিভাগ।
অব্যাহত ভাঙনে ঝুঁকিতে আছে নদী তীরবর্তী আরও শতাধিক ঘর-বাড়ি, ফসলি জমি ও বিভিন্ন স্থাপনা। প্রমত্তা মেঘনার ভাঙনে সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব নদী পাড়ের বাসিন্দারা। অনেকেই ভয়ে টিনের ঘর ও আসবাবপত্র সরিয়ে নিচ্ছেন নিরাপদ দূরত্বে। ক্ষতিগ্রস্ত স্থান পরিদর্শন করে অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করে ভাঙন কিছুটা কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন।
ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বিভাগ। তাই ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি ভাঙন রোধে দ্রুত একটি স্থায়ী বাধ নির্মাণের।
ডিবিসি/ রাসেল