ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি-র নতুন ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) ও সিইও হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন তারেক রেফাত উল্লাহ খান। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ এই নিয়োগ চূড়ান্ত করেছে, যা ২রা সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) থেকে কার্যকর হয়েছে।
এর আগে তারেক গত ২৭শে মে ২০২৫ থেকে ব্যাংকটির এমডি ও সিইও (চলতি দায়িত্ব) হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তাঁর উদ্ভাবনী ক্ষমতা, ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি আনয়নে ভূমিকা এবং প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তনে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে এপ্রিল ২০২৫-এ অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছিল।
তারেক রেফাত উল্লাহ খানের নিয়োগ প্রসঙ্গে ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারপারসন মেহেরিয়ার এম. হাসান বলেন, 'ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও পদের জন্য তারেক রেফাত উল্লাহ খানই আদর্শ লিডার, যিনি ব্যাংকটিকে আগামীর প্রবৃদ্ধিতে নেতৃত্ব দেবেন। তাঁর ভিশন, সততা ও নেতৃত্ব ব্যাংককে আরও বেশি আস্থার, উদ্ভাবনী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিষ্ঠান করে গড়ে তুলবে যার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে গ্রাহকদের জীবনে, ব্যাংকিং খাতে, সমাজে ও দেশে।'
ব্যাংকিং খাতে তিন দশকেরও বেশি সময়ের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন জনাব তারেক ২০১৭ সালে ব্র্যাক ব্যাংকে হেড অব ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট হিসেবে যোগদান করেন। এর পূর্বে তিনি ইস্টার্ন ব্যাংক, এবি ব্যাংক এবং আইএফআইসি ব্যাংকের মতো শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। করপোরেট ও ইনস্টিটিউশনাল ব্যাংকিং, ট্রানজেকশন ব্যাংকিং এবং রিস্ক ম্যানেজমেন্টে তাঁর অভিজ্ঞতা ও উদ্ভাবনী দক্ষতা সর্বজনবিদিত। ইস্টার্ন ব্যাংকে কর্মরত থাকাকালে তিনি কর্মদক্ষতার স্বীকৃতিস্বরূপ 'সিইও অ্যাওয়ার্ড' এবং 'চেয়ারম্যান’স অ্যাওয়ার্ড' অর্জন করেন।
শিক্ষা ও পেশাগত উৎকর্ষতায় জনাব তারেক এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.কম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মার্কেটিং-এ এম.কম ও এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তিনি ভারত, মালয়েশিয়া, বাহরাইন, জার্মানি ও ইতালিতে ব্যাংকিংয়ের বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এছাড়া, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগভুক্ত কর্নেল ইউনিভার্সিটি থেকে মর্যাদাপূর্ণ 'সিনিয়র এক্সিকিউটিভ লিডারশিপ প্রোগ্রাম' সম্পন্ন করেছেন।
তারেক রেফাত উল্লাহ খানের নেতৃত্বে ব্র্যাক ব্যাংক নতুন উদ্ভাবন ও প্রবৃদ্ধির যুগে প্রবেশ করবে এবং দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ও বিশ্বস্ত ব্যাংক হিসেবে নিজের অবস্থান আরও সুদৃঢ় করবে বলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আশাবাদী।
ডিবিসি/পিআরএএন