তিন দফা বন্যায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে পানিবন্দি জামালপুরের দশ লাখেরও বেশি মানুষ। কয়েকদিন ধরে পানি কমতে থাকায় আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে ঘরে ফিরছেন কেউ কেউ।
তবে পানি নেমে গেলেও, রয়ে গেছে বন্যার ক্ষতচিহ্ন। তাই স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সরকারি সহায়তার দাবি দীর্ঘদিন ধরেই কর্মহীন এই নিম্ন আয়ের মানুষদের।
বহুবার নদী ভাঙনের শিকার ইসলামপুর উপজেলার শিংভাঙা এলাকার যমুনা পাড়ের সাহেরা-বাছেদ দম্পতি। প্রতিবারের মতো এবারো বন্যায় সময় আশ্রয় নিয়েছিলেন পার্শ্ববর্তী স্কুলে। পানি একটু কমে যাওয়ায় এখন ফিরে এসেছেন নিজ ঘরে। কিন্তু দিনমজুর বাছেদ, পরিবারের মুখে খাবার জোগাতেই হিমশিম খাচ্ছেন।
একই এলাকার আশি বছরের সুলেভানুর গল্পটাও প্রায় একই রকম। ছেলে-মেয়ে থাকলেও, স্বামীকে নিয়ে আলাদা সংসার সুলেভানুর। বৃদ্ধ স্বামীকে নিয়ে এখন কাটাচ্ছেন দুর্বিষহ জীবন।
নদী তীরবর্তী মানুষের এবারের লড়াইটা অন্যান্যবারের চেয়ে বেশ দীর্ঘ। স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে তাই দাবি জানালেন সরকারি সহায়তার।
এ অবস্থায় জামালপুর ২ আসনের সংসদ সদস্য ফরিদুল হক খান দুলাল আশ্বাস দিলেন, দুর্গত এলাকায় ঘর নির্মাণসহ কৃষি পুনর্বাসন কর্যক্রম শুরু হবে শিগগিরই।
সরকারি হিসেবে, চলতি বন্যায় জেলায় ১৪ হাজারের বেশি ঘর, ৬ হাজার নলকূপ এবং ৬ হাজার ৯৩৪টি ল্যাট্রিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সংস্কার করতে হবে ১৯৪ কিলোমিটার কাঁচা এবং ৬৬ কিলোমিটার পাকা সড়ক।