টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে নিজেদের প্রথম ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে পাকিস্তান।
ভারতের ছুঁড়ে দেয়া ১৫২ রানের লক্ষ্য কোনো উইকেট না হারিয়েই পার হয়ে যান পাকিস্তানের দুই ওপেনার বাবর আজম এবং মোহাম্মদ রিজওয়ান। হাতে তখনও বাকি ছিল ১৩টি বল। ৫৫ বলে ৭৯ রানে অপরাজিত ছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং ৫২ বলে ৬৮ রানে অপরাজিত ছিলেন বাবর আজম।
আর এতেই লেখা হয়ে যায় ভারত-পাকিস্তান মহারণের এক মহাকাব্য। ভারতের বিপক্ষে কত জয় আছে পাকিস্তানের! কিন্তু এই একটি জয় ইতিহাসের পাতায় লিখে রাখবে দেশটি। লিখে রাখবে ইতিহাসও।
এর আগে, ম্যাচে আগে ব্যাট করে পাকিস্তানকে ১৫২ রানের টার্গেট দেয় ভারত। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপাকে পড়ে যায় ভারত। মাত্র ৬ রানে দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুলের উইকেট হারায় তারা। পাকিস্তানের পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন রোহিত। লোকেশ রাহুলকে বোল্ড করেন এই তরুণ পেসার। ২.১ ওভারে ৬ রানে দুই ওপেনার আউট হওয়ার পর দলীয় ৩১ রানে ফেরেন চার নম্বর পজিশনে চ্যাটিংয়ে নামা সুরাইয়া কুমার যাদবও।
প্রথম সারির ৩ ব্যাটসম্যান আউট হওয়াতে চাপের মধ্যে পড়ে যায় ভারত। দলকে খেলায় ফেরাতে চেষ্টা করে যান অধিনায়ক বিরাট কোহলি। চতুর্থ উইকেটে ঋষভ পন্থকে সঙ্গে নিয়ে ৫৩ রানের জুটি গড়েন কোহলি। ৩০ বলে ৩৯ রান করে শাদাব খানের বলে তার হাতেই ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ঋষভ পন্থ।
ছয় নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে হাসান আলীর বলে ক্যাচ তুলে দেয়ার আগে ১৩ বলে মাত্র ১৩ রান করার সুযোগ পান রবিন্দ্র জাদেজা। এরপর হার্দিক পান্ডিয়াকে বেশি সময় সঙ্গ দিতে পারেননি অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ৪৯ বলে ৫টি চার ও এক ছক্কায় ৫৭ রান করে ফেরেন তিনি।
সবশেষ ২০১৯ এর জুনে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অভিষেক আসরে পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। পরেরবার শিরোপা ঘরে তোলে পাকিস্তানও।