আন্তর্জাতিক

ভারতসহ ১২ দেশের ৪০০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ডিবিসি নিউজ

বৃহঃস্পতিবার ৩১শে অক্টোবর ২০২৪ ০১:৪৫:৫৪ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আওতায় বুধবার (৩০শে অক্টোবর) বেশ কয়েকটি দেশের শত শত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর কারণে মস্কোর ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞার চাপ এড়ানো ঠেকাতে এই পদক্ষেপ নিলো মার্কিন সরকার।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

মার্কিন অর্থ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতি অনুযায়ী, এবারের পদক্ষেপে ১২টির বেশি দেশের প্রায় ৪০০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এটি তৃতীয় দেশের নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ। এর মধ্যে রয়েছে চীন, হংকং ও ভারতের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া রাশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সুইজারল্যান্ড এবং অন্যান্য দেশের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

ওয়াশিংটন এমন সময়ে এই পদক্ষেপ নিলো যখন দেশটি ২০২২ সালে ইউক্রেনে রুশ আক্রমণের পর রাশিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর প্রচেষ্টা ঠেকাতে নড়েচড়ে বসেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, এটি এসব দেশের সরকার ও বেসরকারি খাতের কাছে একটি গুরুতর বার্তা হওয়া উচিত যে মার্কিন সরকার রাশিয়ার বিরুদ্ধে আমাদের নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর চেষ্টা প্রতিহত করতে এবং ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ করতে রাশিয়ার ওপর চাপ অব্যাহত রাখার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

রয়টার্স বলছে, এই দফায় মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় ২৭৪, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ১২০টির বেশি এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ৪০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত করেছে। তাদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীকে সহায়তার অভিযোগ তোলা হয়েছে।

নতুন করে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ওয়াশিংটনে চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউ বলেন, এসব অবৈধ ও অন্যায় একতরফা নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে বেইজিংয়ের অবস্থান দৃঢ়।

লিউ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার সঙ্গে চীনের স্বাভাবিক বাণিজ্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনে। একই সাথে তারা ইউক্রেনকে নজিরবিহীন সামরিক সহায়তা প্রদান করে। এটি একটি দ্বৈত নীতি, যা অত্যন্ত ভণ্ডামিপূর্ণ ও দায়িত্বজ্ঞানহীন।

ওয়াশিংটনে রাশিয়া ও ভারতের দূতাবাস তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি। তাছাড়া তুরস্কের সরকারও তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধে কোনো সাড়া দেয়নি।

ডিবিসি/ এসএসএস

আরও পড়ুন