আন্তর্জাতিক, ভারত

ভারতের ওড়িশায় বাংলাদেশি সন্দেহে মুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ডিবিসি নিউজ

৫ ঘন্টা আগে
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

ভারতের ওড়িশা রাজ্যে বাংলাদেশি সন্দেহে জুয়েল রানা (১৯) নামের পশ্চিমবঙ্গের এক মুসলমান নির্মাণ শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার (২৪শে ডিসেম্বর) রাতে ওড়িশার সম্বলপুর জেলার দানিপালি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এই হামলায় আরও দুইজন আহত হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

নিহত জুয়েল রানার বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার সুতি এক নম্বর ব্লকের চক বাহাদুরপুর গ্রামে। জীবিকার তাগিদে মাত্র পাঁচ দিন আগেই তিনি ওড়িশায় গিয়েছিলেন।


পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্যানুযায়ী, বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে সম্বলপুরের আইন্থাপল্লী থানা এলাকার দানিপালিতে জুয়েল ও তার সঙ্গীরা রাতের খাবার শেষে বিড়ি খাচ্ছিলেন। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি সেখানে উপস্থিত হয়ে তাদের কাছে বিড়ি চায় এবং পরবর্তীতে তাদের কথাবার্তা শুনে ‘বাংলাদেশি’ বলে সন্দেহ করে।


নিহতের সহকর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শী পল্টু শেখ জানান, হামলাকারীরা তাদের কাছে আধার কার্ড (পরিচয়পত্র) দেখতে চায়। একজন কার্ড আনতে ঘরে যাওয়ার সময়ই স্থানীয় ওই দলটি মারধর শুরু করে। তিনি বলেন, ওদের হাত থেকে একজন পালিয়ে এসে আমাদের খবর দেয়। আমরা গিয়ে দেখি হামলাকারীরা অন্ধকারের সুযোগে পালিয়ে গেছে এবং জুয়েল মারা গেছে।


জুয়েল রানার কাকা রিয়াকুল শেখ প্রত্যক্ষদর্শী শ্রমিকদের বরাত দিয়ে অভিযোগ করেন, চার-পাঁচজন দুর্বৃত্ত এসে জুয়েল ও তার সঙ্গীদের ‘বাংলাদেশি’ আখ্যা দিয়ে প্রশ্ন করে- তারা কেন ভারতে থাকবে। এ সময় তাদের মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয় এবং ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।


সম্বলপুরের মহকুমা পুলিশ অফিসার (এসডিপিও) তোফান বাগ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, স্থানীয়রা আধার কার্ড দেখতে চাওয়ার পর মারধর শুরু করে এবং ঘটনাস্থলেই একজন মারা যান।


পুলিশ জানিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। আহত অপর দুই শ্রমিককে সম্বলপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং তাদের শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল।

 

সূত্র: বিবিসি বাংলা

 

ডিবিসি/ এসএফএল

আরও পড়ুন