ভারতে জ্বালানি তেলের দাম কমলেও তা বাংলাদেশের দামের চেয়ে বেশি। ৩রা নভেম্বর দেশটিতে ডিজেলের মূল্য ১০১ দশমিক ৫৩ রুপি নির্ধারণ করা হয়, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২৪ টাকা।
২০১৩ সালের জানুয়ারিতে দেশে ডিজেলের মূল্য ৬৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ২০১৬ সালের এপ্রিলে তিন টাকা কমিয়ে দাম নির্ধারণ করা হয় ৬৫ টাকা। এরপর প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর ডিজেলের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
তবে জ্বালানি তেলের দাম ১৫ টাকা বাড়ানোর ফলে তা হয়েছে ৮০ টাকা। গত ৩রা নভেম্বর ভারতে কমানো হয়েছে দাম, ডিজেলের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০১ দশমিক ৫৩ রুপি, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২৪ টাকা।
বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে জ্বালানির তেলের দামের পার্থক্য প্রায় ৫৯ টাকা, যা দ্বিগুণের কাছাকাছি।
কয়েক বছর আগের মূল্যে ফিরে গেলে দেখা যায়, ২০১৩ সালে বাংলাদেশে যখন জ্বালানি তেলের মূল্য ৬৮ টাকা ছিল তখন ভারতের কলকাতায় ছিল ৬৮ দশমিক এক রূপি। পরবর্তীতে যখন দেশে ডিজেলের মূল্য ৬৫ টাকা করা হয়, তখন কলকাতায় ছিল ৫৪ দশমিক ১৭ রূপি।
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়তে থাকায় সর্বাধিক ব্যবহৃত ডিজেলের ক্ষেত্রে লোকসানের মুখে পড়ে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন। জুনে লিটার প্রতি ২ দশমিক ৯৭, জুলাইয়ে ৩ দশমিক ৭০ টাকা, আগস্টে ১ দশমিক ৫৮, সেপ্টেম্বরে ৫ দশমিক ৬২ ও অক্টোবরে ১৩ দশমিক শূন্য এক টাকার লোকসান হয় বিপিসির। সে হিসেবে গত সাড়ে পাঁচ মাসে বিপিসির মোট লোকসানের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১ হাজার ১৪৭ কোটি।
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকায় এবং পাশের দেশ ভারতে মূল্য বাংলাদেশের চেয়ে বেশি থাকায় পাচারের আশঙ্কায় ৩রা নভেম্বর থেকে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম পুন:নির্ধারণ করে সরকার।