ভারতের মধ্যপ্রদেশের ছিঁদওয়াড়া জেলার পাড়াসিয়া-তে ভেজাল কাশির সিরাপ সেবনের কারণে অন্তত ১১টি শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ ওঠার পর, পুলিশ একজন সরকারি শিশু বিশেষজ্ঞ (পেডিয়াট্রিশিয়ান) এবং একটি তামিলনাড়ু-ভিত্তিক ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার পরিচালকদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ডাক্তারকে পরে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের আগে ডাক্তার তাঁর পক্ষ সমর্থন করে বলেন যে, তিনি কল্পনাও করতে পারেননি কাশির সিরাপে ভেজাল থাকতে পারে এবং তিনি গত ১৫ বছর ধরে এই সিরাপটিই প্রেসক্রাইব করে আসছেন।
শনিবার পাড়াসিয়া থানায় যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে, তাতে ওই শহরের কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে কর্মরত শিশু বিশেষজ্ঞ ড. প্রবীণ সোনি এবং তামিলনাড়ুর কাঞ্চিপুরম-এর মেসার্স স্রেসান ফার্মাসিউটিক্যালস-এর পরিচালকদের নাম রয়েছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা-এর ধারা ১০৫ এবং ২৭৬ এবং ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিক্স আইন, ১৯৪০ এর ২৭(এ) ধারায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
পাড়াসিয়া সিএইচসি-এর ব্লক মেডিকেল অফিসার ড. অঙ্কিত সাহলাম অভিযোগটি দায়ের করেন। তিনি অভিযোগ করেন, সোনি-র তত্ত্বাবধানে জ্বর ও কাশির চিকিৎসা করানো পাঁচ বছরের কম বয়সী বেশ কয়েকটি শিশুর পরে তীব্র কিডনি বিকল হওয়ার লক্ষণ দেখা দেয়। এফআইআর অনুযায়ী, এই শিশুদের স্থানীয়ভাবে সহজলভ্য একটি কাশির সিরাপ প্রেসক্রাইব করা হয়েছিল, যা পরে ভেজালযুক্ত বলে প্রমাণিত হয়।
অভিযোগে বলা হয়েছে, 'প্রেসক্রাইব করা ওষুধটি খাওয়ার পর বহু শিশুর প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যায় এবং ডাক্তারি পরীক্ষায় তাদের সিরাম ক্রিয়েটিনিন এবং ইউরিয়া-র মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যা কিডনি বিকল হওয়ার ইঙ্গিত দেয়।' ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের অনেককে জরুরি চিকিৎসার জন্য নাগপুরের হাসপাতালগুলোতে রেফার করা হয়েছিল।
ড. সোনির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি জানাজানিভাবে ছোট শিশুদের এমন একটি বিপজ্জনক ভেজাল ওষুধ দিয়েছেন, যা মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
তথ্যসূত্র দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
ডিবিসি/এমইউএ