বিহারের পশ্চিম চম্পারণ জেলার বেত্তিয়ায় এক অবিশ্বাস্য ও লোমহর্ষক ঘটনা ঘটেছে। মাত্র দুই বছর বয়সী এক শিশু একটি বিষধর কোবরা সাপকে দাঁত দিয়ে কামড়ে মেরে ফেলেছে। সাপটি শিশুটির হাতে পেঁচিয়ে ধরেছিল, কিন্তু ভয় না পেয়ে শিশুটি উল্টে সাপটিকেই কামড় দেয়। ঘটনার পর শিশুটি অজ্ঞান হয়ে গেলেও দ্রুত চিকিৎসার ফলে সে প্রাণে বেঁচে গেছে।
স্থানীয় গ্রামবাসী এমন দাবি করেছেন বলে শনিবার (২৬শে জুলাই) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টাইমিস অব ইন্ডিয়া। এই ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বিকেলে মাজহৌলিয়া ব্লকের বানকাতওয়া গ্রামে। সুনীল এর দুই বছরের ছেলে গোবিন্দ কুমার বাড়ির কাছে খেলার সময় সাপটিকে দেখতে পায়। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, শ্রীকৃষ্ণ (যার আরেক নাম গোবিন্দ) যমুনা নদীতে কালিয়া নাগকে দমন করেছিলেন। এই ঘটনার সঙ্গে সেই কাহিনীর আশ্চর্যজনক সাদৃশ্য গ্রামবাসীদের হতবাক করে দিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, কৌতূহলী গোবিন্দ খেলার ছলে সাপটির দিকে একটি ইটের টুকরো ছুড়ে মারে। এরপরই সাপটি তার ছোট্ট হাতে শক্ত করে পেঁচিয়ে ধরে। কিন্তু চিৎকার করার পরিবর্তে, শিশুটি সাপটির মাথায় ও মুখে এত জোরে কামড় দেয় যে ঘটনাস্থলেই সাপটি মারা যায়।
গোবিন্দের ঠাকুমা, মাতেশ্বরী দেবী বলেন, "আমরা যখন বাচ্চাটার হাতে সাপটা দেখি, সবাই ছুটে যাই। কিন্তু তার আগেই ও সাপটাকে কামড়ে মেরে ফেলেছিল।"
সাপের কামড়ের প্রভাবে গোবিন্দ সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞান হারায়। তাকে প্রথমে স্থানীয় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এবং পরে বেত্তিয়ার সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা এই ঘটনাকে "অত্যন্ত অস্বাভাবিক" বলে বর্ণনা করেছেন।
জিএমসিএইচ-এর চিকিৎসক সৌরভ কুমার জানান, শিশুটির কামড়ে মাথায় ও মুখে গুরুতর আঘাত পেয়ে সাপটি মারা গেছে। অন্যদিকে, গোবিন্দের শরীরে বিষের প্রভাব ছিল মৃদু, যা তাকে অজ্ঞান করার জন্য যথেষ্ট হলেও প্রাণঘাতী ছিল না। তিনি আরও বলেন, "সময়মতো চিকিৎসার কারণে গোবিন্দের জীবন বেঁচে গেছে। শিশুটির অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল এবং সে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছে। তাকে প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।"
ডিবিসি/আরএসএল