দেশের বিভিন্ন জেলা তৃতীয়বারের মতো বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। ভারতের উজান থেকে দ্রুত বেগে আসা পানির কারণেই হঠাৎ করে এই বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। এতে শতশত গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। লাখ লাখ মানুষ বিপাকে পড়েছেন।
অপরদিকে ভারি বর্ষণ ও ভারত থেকে আসা ঢলের তোড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর প্লাবিত হয়েছে। পানি উঠেছে আশপাশের অন্তত ১০টির বেশি গ্রামে। পানির তোড়ে একটি অস্থায়ী সেতু ভেঙে আখাউড়া-আগরতলা সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাত থেকে আখাউড়ায় ভারি বর্ষণ শুরু হয়। সকাল থেকে বন্দরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খাল দিয়ে ভারত থেকে তীব্র বেগে পানি ঢুকতে থাকে। এক পর্যায়ে স্থলবন্দর, বাউতলা, বীরচন্দ্রপুর, কালিকাপুর, বঙ্গেরচর, সাহেবনগরসহ অন্তত ১০টি গ্রামে পানি ঢুকে পড়ে। ভেঙে যায় গাজীরবাজার এলাকার অস্থায়ী সেতু। এখনো ভারত থেকে পানি আসছে।
এর আগে মঙ্গলবার (২০শে আগস্ট) খলাপাড়া এলাকায় হাওড়া নদীর বাঁধের কিছু অংশ ভেঙে পানি ঢুকতে শুরু করে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন।
দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দিন গণমাধ্যমে জানান, সকালে তীব্র বেগে ভারতীয় পানি ঢুকতে থাকে। এতে কয়েকটি গ্রামে পানি উঠার পাশাপাশি আখাউড়া-আগরতলা সড়কের অস্থায়ী সেতু ভেঙে যায়। পুরো বন্দর এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।
আকস্মিক এ বন্যার কারণে বিপুল পরিমাণ ধানি জমি ও বেশ কয়েকটি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা জানান, পাহাড়ি ঢলে ১৯৫ হেক্টর শাক সবজির জমি, ১২২ হেক্টর আমনের বীজতলা, ৩৪৪০ হেক্টর রোপা আমন ধানের জমি পানিতে নিচে তলিয়ে আছে। দ্রুত পানি সরে গেলে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা কম। তবে পানি দীর্ঘস্থায়ী হলে ক্ষয়ক্ষতি বাড়তে পারে। এক সপ্তাহ পর ক্ষয়ক্ষতির চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করা হবে।
ডিবিসি/কেএলডি