ব্যবসায়ী ও বিশ্লেষকরা মনে করেন, অনাকাঙ্খিত এ যুদ্ধ অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টির শঙ্কা তৈরি করেছিলো। যুদ্ধ থেমে যাওয়ায় এখন এ শঙ্কা খানিকটা কমলেও তা পুরোপুরি শেষ হয়নি। বিশ্লেষকদের মতে, দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ফেরাতে চাইলে ভারতকেই আগে তার মনোভাব বদলাতে হবে। আর তা করলে ভারতসহ প্রতিবেশি সব দেশই লাভবান হতে পারে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আয়তন ও অর্থনৈতিক সামর্থ্যে এগিয়ে ভারত। আর ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশ হলেও সামরিক শক্তি বিচারে এগিয়ে পাকিস্তান। এ দুই দেশের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া তাই প্রতিবেশি দেশগুলোর জন্য ছিলো চিন্তার কারণ।
গত (২২শে এপ্রিল) ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর শুরু হয় দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা। যা পরবর্তীতে ধীরে রুপ নিতে থাকে সংঘাতে। শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের মধ্যস্ততায় স্থিমিত হয় উত্তেজনা।
বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা বলছেন, যুদ্ধ বিরতির সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে ভারত পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জন্য সুখবর। ব্যবসায়ীদের শঙ্কা ছিল, দুই দেশের উত্তেজনা যুদ্ধে রূপ নিলে তা বাংলাদেশের আমদানি বাণিজ্যের জন্য হতো ভয়াবহ দুসংবাদ।
বিশ্লেষকদের মতে, যুদ্ধ বা সংঘাত এড়িয়ে ভারত পাকিস্তান অর্থনৈতিক মুক্তিতে নজর দিলে তা দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশের মানুষের কল্যাণ বয়ে আনবে।
আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠার যে সুযোগ তৈরি হয়েছে তা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ যেন তার বাণিজ্যের ন্যায্য হিস্যা আদায় করে নিতে পারে, দায়িত্বশীলদের তা নিশ্চিত করার তাগিদ দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা।
ডিবিসি/নাসিফ