টানা ভারী বর্ষণ এবং জোয়ারের পানিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে। বন্দরনগরী চট্টগ্রামের অধিকাংশ এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে, অন্যদিকে যশোরের অভয়নগরে আতাই নদের বাঁধ উপচে দুটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। লালমনিরহাটে বন্যার পানি নামতে শুরু করলেও তিস্তার ভাঙন নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৩১শে জুলাই) সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম মহানগরের কাতালগঞ্জ, শুলকবহর, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা এবং হালিশহরের বেশিরভাগ নিচু এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। ব্যস্ততম সড়কগুলোতে পানি জমে যাওয়ায় কর্মজীবী মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েন। অনেক অভিভাবককে তাদের সন্তানদের স্কুলে পৌঁছে দিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়, আর যানবাহন পাওয়া গেলেও গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। কাতালগঞ্জ আবাসিক এলাকার বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে মূল্যবান মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
এদিকে, টানা বৃষ্টি ও অস্বাভাবিক জোয়ারের কারণে যশোরের অভয়নগরে আতাই নদের দুর্বল বাঁধ উপচে শান্তিপুর ও রামনগর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে কয়েকশ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ফসলি জমি, মাছের ঘের ও রাস্তাঘাট ভেসে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, তারা চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
অন্যদিকে, লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় তীরবর্তী এলাকাগুলো থেকে বন্যার পানি নেমে গেছে। তবে সদর উপজেলার গোকুন্ডা, আদিতমারীর গোবর্ধন, হাতীবান্ধার সির্ন্দুনা এবং পাটগ্রামের দহগ্রাম ইউনিয়নে নতুন করে নদী ভাঙন শুরু হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে এই ভারী বৃষ্টিপাত আরও দুই থেকে তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে। একইসাথে চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজারে পাহাড় ধসের আশঙ্কাও রয়েছে।
ডিবিসি/ এএমটি