পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ভালোবাসা দিবসে শাশুড়ীকে নিয়ে পালালো ঘরজামাই মো. সাইদুল ইসলাম (৩৫)। এ ঘটনায় জেলাজুড়ে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (২০শে ফেব্রুয়ারি) মির্জাগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শ্বশুর হালিম সিকদার বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আদালতের বিচারক স্বপন কুমার দাস মামলাটি আমলে নিয়ে জামাই-শাশুড়ির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মির্জাগঞ্জ গ্রামের হালিম সিকদারের বড় মেয়ের সঙ্গে একই গ্রামের সাইদুল ইসলামের বিয়ে হয় ৫ বছর আগে। বিয়ের পর জামাই সাইদুল ইসলাম তার স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতেই বসবাস করতেন। শ্বশুর হালিম সিকদার কাজে প্রায়ই বাড়ির বাইরে থাকার সুবাদে সকলের চোখ ফাঁকি দিয়ে শাশুড়ির সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পরেন জামাই সাইদুল ইসলাম।
গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি শাশুড়িকে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় শ্বশুর হালিম সিকদার তার ব্যক্তিগত কাজে তার বাবার চিকিৎসার জন্য ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। ঢাকা থেকে এসে প্রতিবেশিদের কাছে জানতে পারেন তার স্ত্রী (শাশুড়ি) জামাইয়ের সঙ্গে পালিয়ে গেছে।
মামলার বাদী শ্বশুর হালিম সিকদার বলেন, ‘বিয়ের পর জামাই সাইদুল আমাদের ঘরেই বসবাস করত। তাদের একটি ৮ মাসের শিশু কন্যা রয়েছে। আমি মাসে ২০-২৫ দিনের বেশি কাজের প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে থাকতাম। এই সময়ে পরিবারের সকলের চোখ ফাঁকি দিয়ে আমার স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়ায় জামাই সাইদুল। গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি আমার স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুজির পর তাদের কোন খোঁজ না পেয়ে মামলা দায়ের করতে বাধ্য হয়েছি।’
বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. বাবুল হোসেন বলেন, ‘শ্বশুর হালিম সিকদারের দায়ের করা মামলায় জামাই এবং শাশুড়ি পলাতক রয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তাদের বিরূদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।