চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের আগুনে দগ্ধ ছেলের ভিডিও দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছেন মা বাবা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ভিডিও দেখে তারা তাকে শনাক্ত করেছেন। কিন্তু, দেখতে যাওয়ার গাড়ি ভাড়াও নেই দরিদ্র মা বাবার কাছে। জানেন না কোন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ছেলেকে।
স্থানীয়রা জানান, আল-আমিন তার দুই বন্ধুর সঙ্গে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে কাজ করতেন। ডিপোতে বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডের পর থেকেই আল আমিন নিখোঁজ ছিলেন। রবিবার রাতে স্থানীয় এক যুবক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিওতে দগ্ধ অবস্থায় আল আমিনকে দেখতে পান। ভিডিওটি আল আমিনের মা সুজেনা বেগমের কাছে নিয়ে গেলে তিনিও তাকে নিজের ছেলে বলে শনাক্ত করেন।
ভিডিওটি দেখার পর থেকে সুজেনা বেগম তার ছেলেকে দেখার জন্য বার বার উন্মুখ হয়ে আছেন। কিন্তু ভাড়ার টাকা না থাকায় যেতে পারেননি। পরবর্তীতে ভাড়ার টাকা যোগাড় করে তাকে পাঠানো হয়েছে।
অবশেষে আজ গাড়ি ভাড়া দিয়ে তাদের চট্টগ্রামে পাঠিয়েছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. মুদ্দত আলী। তিনি জানান, আল আমিন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২৮নং ওয়ার্ডের ২৫নং বেডে চিকিৎসাধীন আছে। তার দ্রত সুস্থতার জন্য দোয়া করে তিনি বলেন, আমি আল আমিনের জন্য সকলের দোয়া কামনা করি।
আহত আল-আমিন (২২) হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার পুটিজুরী ইউনিয়নের বাঘেরখাল গ্রামের বাসিন্দা শিপু মিয়ার ছেলে।
দগ্ধ আল আমিনের পরিবার জানায়, পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। সম্প্রতি ফাহিম ও রাজিব নামে দুই বন্ধুর সঙ্গে কনটেইনার ডিপোতে গিয়ে কাজে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। ঘটনার দিন রাতে শুধু আল অমিনের ডিউটি ছিল। দুই বন্ধু দিনের ডিউটি করে বাসায় চলে গিয়েছিলেন।