প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভুটানকে বাংলাদেশের দেওয়া অবকাঠামোগত সুবিধাগুলোর সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের বিপুল সম্ভাবনা এখনও বিদ্যমান।
বুধবার (৯ই জুলাই) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে ভুটানের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত দাশো কারমা হামু দর্জি। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা এই আহ্বান জানান।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত দর্জি ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে অধ্যাপক ইউনূসের কাছে শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দেন। ভুটান ও বাংলাদেশের মধ্যেকার দীর্ঘদিনের ঐতিহাসিক সম্পর্ক এবং বিদ্যমান চমৎকার সহযোগিতার কথা তুলে ধরে তিনি বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বিশেষ করে, চিকিৎসা শিক্ষায় বাংলাদেশি সহযোগিতা এবং বাংলাদেশে একটি ভুটানি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার সুযোগ দেওয়ার জন্য তিনি বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান। রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর করার বিষয়ে তার দেশের আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা দুই দেশের জনগণের মধ্যে, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, "দুই দেশের যুবসমাজের উচিত পরস্পরের দেশ ভ্রমণের মাধ্যমে পারস্পরিক সংস্কৃতি বোঝা ও নিজেদের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করা।"
অধ্যাপক ইউনূস আরও উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক)-এর চেতনাকে ধারণ করতে ও এগিয়ে নিয়ে যেতে আগ্রহী।
প্রধান উপদেষ্টা নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে স্বাগত জানিয়ে তাঁর দায়িত্ব পালনকালে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, রাষ্ট্রদূতের কার্যকালে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী হবে।
ডিবিসি/এএনটি