বাংলাদেশ, জাতীয়

ভুয়া অডিট রিপোর্টে কেবল লাইসেন্স বাতিলের নজির

ডেস্ক নিউজ

ডিবিসি নিউজ

৩ ঘন্টা আগে
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

অডিট কোম্পানিগুলো ভুয়া রিপোর্ট দিলেও অপরাধ অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয় না, কেবল লাইসেন্স বাতিলের মতো সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত নেয়ার নজির দেখা যায়।

আর্থিক খাত বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশে অডিট কোম্পানিগুলোর আর্থিক প্রতিবেদন এখনও নির্ভরযোগ্যতা পায়নি, অথচ এই প্রতিবেদনের ওপর ভর করে আর্থিক সিদ্ধান্ত নিয়ে সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত ঠকছেন। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীরা সাধারণত কোম্পানির বার্ষিক অডিট প্রতিবেদন দেখে পারফরমেন্স সম্পর্কে ধারণা নেন, যা নিয়ন্ত্রক সংস্থা অনুমোদন করে।

 

একীভূত হওয়ার প্রক্রিয়ায় থাকা এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকটি অর্থ লোপাট ও পাহাড়সম খেলাপি ঋণে ব্যাপক লোকসানে থাকলেও বার্ষিক প্রতিবেদনে প্রকৃত চিত্র গোপন করে ব্যাংকটিকে লাভজনক দেখানো হয়েছিল। ব্যাংকটির ২০২৩ সালের আর্থিক প্রতিবেদন যাচাইকারী অডিট প্রতিষ্ঠান ছিল শফিক বসাক অ্যান্ড কোম্পানি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস।

 

পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক অডিট প্রতিবেদনে এই জালিয়াতিপূর্ণ লাভের হিসাব ধরা পড়ে। বর্তমানে ব্যাংকটিতে বিনিয়োগ করে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত এবং তাদের কোনো শেয়ার বরাদ্দ না দিয়ে ৫টি ব্যাংক একীভূত করে নতুন ব্যাংক করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

 

বিআইবিএম-এর অধ্যাপক শাহ মো. আহসান হাবীবসহ আর্থিক খাত বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশে ভুয়া অডিট রিপোর্ট দেয়ার জন্য উপযুক্ত শাস্তির নজির নেই। বিনিয়োগকারীদের এমন পরিস্থিতির জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোও দায়ী।

 

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আল আমীন জানান, এসব ঘটনায় পুঁজিবাজারে অনাস্থার পরিবেশ ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে।

 

ডিবিসি/ এইচএপি  

আরও পড়ুন