বুধবার (১৭ই জুলাই) পার্লামেন্ট অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার সময় ভুয়া সংবাদের বিস্তার ঠেকাতে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ।
স্পেনের পার্লামেন্টে এ সংক্রান্ত বিলটি উপস্থাপন করার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্রের জন্য সংবাদমাধ্যম অপরিহার্য, তবে সেই সংবাদমাধ্যমকে অবশ্যই মানসম্পন্ন হতে হবে। সংবাদমাধ্যম যদি বৈচিত্রময় ও নির্ভরযোগ্য বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ না করে, তাহলে জনগণ একপ্রকার অন্ধ হয়ে যায়।
নতুন এই বিল প্রসঙ্গে পেদ্রো সানচেজ আরও বলেন, গত মার্চ মাসে ইউরোপিয়ান মিডিয়া ফ্রিডম অ্যাক্ট নামের যে আইনটি চালু করেছে ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), তার আলোকে গঠন করা হয়েছে এই আইন। ইউরোপিয়ান মিডিয়া ফ্রিডম অ্যাক্টে সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও মুক্ত সাংবাদিকতার পাশাপাশি সাংবাদিকদের গুপ্তচরবৃত্তি এবং অতি গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর ইস্যুগুলো যেন সংবাদকর্মীদের নাগালের বাইরে থাকে- সে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।
দু’দিন আগে স্পেনের কিছু সংবাদমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছিল যে, পেদ্রো সানচেজের স্ত্রী বেগোনা সানচেজকে দুর্নীতির অভিযোগে তলব করেছেন আদালত। পরে ওইদিনই এক বিবৃতিতে সানচেজ বলেন, এই তথ্য ভিত্তিহীন। বিল উত্থাপনের পর স্পেনের পার্লামেন্ট কর্টেস জেনারেলসের বিরোধী দল রক্ষণশীল পিপলস পার্টির নেতারা অবশ্য বলেছেন, নিজের স্ত্রীর সংবাদে বিচলিত হয়ে এই বিল পেশ করেছেন সানচেজ। পাশাপাশি এই বিলটিকে ‘সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ’ বলেও উল্লেখ করেছেন তারা।
তবে বুধবার কেবল ভুয়া সংবাদ ইস্যুতেই বক্তব্য দেননি পেদ্রো সানচেজ। স্পেনের যেসব নিবন্ধিত সংবাদমাধ্যম এখনও ডিজিটাল ফরম্যাটে পৌঁছাতে পারেনি, সেসব সংবাদমাধ্যমের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ১০ কোটি ইউরো সহায়তা প্রদানের ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।
সূত্র: রয়টার্স
ডিবিসি/আরপিকে