বাংলাদেশ, জেলার সংবাদ

ভৈরবে একসঙ্গে ৩ পুত্রসন্তানের জন্ম, পরিবারে খুশির মাঝেও দুশ্চিন্তার ছাপ

ভৈরব প্রতিনিধি

ডিবিসি নিউজ

সোমবার ৩০শে জুন ২০২৫ ০৫:১৩:৪৮ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে এক দিনমজুর পরিবারে একসঙ্গে তিন যমজ পুত্রসন্তানের জন্ম হয়েছে। বিরল এই ঘটনায় আনন্দের বন্যা বইলেও ৬ সন্তানের ভরণপোষণ নিয়ে গভীর দুশ্চিন্তায় পড়েছেন পরিবারটি। রবিবার (২৯শে জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভৈরব শহরের হলিটাচ্ মেডিকেল কেয়ার অ্যান্ড হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিন শিশুর জন্ম হয়। বর্তমানে মা ও নবজাতকেরা সুস্থ আছে।

নবজাতকদের পরিবার সূত্রে জানা যায়, তাদের মা হাসিনা বেগম (৩৫) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার গোয়ালনগর গ্রামের কৃষিশ্রমিক ওলি মিয়ার স্ত্রী। এই তিন নবজাতকের আগেও তাদের ঘরে তিনটি পুত্রসন্তান রয়েছে।

 

রবিবার বিকেলে প্রসব ব্যথা নিয়ে হাসিনা বেগম হাসপাতালে ভর্তি হলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তার গর্ভে তিনটি সন্তান থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হন। পরে রাত সাড়ে ৮টায় সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে একে একে তিনটি পুত্রসন্তান প্রসব করেন তিনি।

 

একসঙ্গে তিন সন্তানের বাবা হতে পেরে খুশি হলেও ভবিষ্যতের চিন্তায় ওলি মিয়ার কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। তিনি বলেন, "আল্লাহ আমাদের ঘরে একসঙ্গে তিনটি সন্তান দিয়েছেন, এতে আমরা খুশি। কিন্তু আমি দিনমজুর হিসেবে কৃষিকাজ করে কোনো রকমে সংসার চালাই। আগেও তিনটি ছেলে আছে। এখন ছয়টি সন্তান নিয়ে কীভাবে তাদের খরচ চালাবো, দুধ-পোশাক-ওষুধের খরচ মেটাবো, সেটা ভেবেই অস্থির হয়ে যাচ্ছি।"

 

শিশুদের মা হাসিনা বেগম আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, "আমি ভাবতেও পারিনি তিনটা সন্তান হবে। যখন একে একে ডাক্তার-নার্সরা তিনটি ছেলে কোলে তুলে দিল, তখন চোখে পানি চলে এলো। খুশি তো হয়েছি, তবে চিন্তাও কম নয়। আল্লাহর কাছে দোয়া করি, যেন সবাই ভালো থাকে।"

 

হলিটাচ্ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়জুল আলম বলেন, "হাসিনা বেগম প্রসব ব্যথা নিয়ে আমাদের হাসপাতালে আসলে আমরা প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করে তিনটি বাচ্চা থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হই। পরে সিজার করে সফলভাবে তিন নবজাতককে বের করি। এটি আমাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ ছিল, কিন্তু আল্লাহর রহমতে সফল হয়েছি।"

 

তিনি আরও বলেন, "ওই পরিবারটি অস্বচ্ছল হওয়ায় আমরা হাসপাতাল থেকে মানবিক সহায়তা দিয়েছি এবং চেষ্টা করবো ভবিষ্যতেও পাশে থাকতে। আমরা চাই সমাজের বিত্তবানরা এই শিশুদের জন্য এগিয়ে আসুক।"

 

ডিবিসি/এএনটি

আরও পড়ুন