বাংলাদেশ

মধ্যরাত থেকে সারাদেশে ‘বন্ধ’ হচ্ছে না ট্রেন চলাচল

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডিবিসি নিউজ

রবিবার ২৭শে আগস্ট ২০২৩ ১১:৩৪:৫৫ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

সারাদেশে রবিবার (২৭ আগস্ট) মধ্যরাত থেকে টানা কর্মবিরতিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছেন রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। ফলে সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা নেই।

মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন প্রদান এবং আনুতোষিক সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে জটিলতা নিরসন না হওয়ায় পূর্বঘোষিত এমন সিদ্ধান্তে অনড় থাকার বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারীরা এ আন্দোলনের হুমকি দেয়।

রবিবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে সাড়ে ৫টার দিকে বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান ডিবিসি নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা বৈঠকে বসছি। আগামী ১০ থেকে ১২ দিন সময় দেয়া হবে। আপাতত আমরা কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবো। অর্থাৎ কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত বাতিল করা হবে আজ। ২৯ তারিখে বৈঠকের পর আমরা সিদ্ধান্ত নিবো। সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে।’

আন্দোলনরতদের পক্ষ থেকে বলা হয়, নিয়ম অনুযায়ী একজন রানিং স্টাফ (চালক, সহকারী চালক, গার্ড, টিকিট চেকার) ট্রেনে দায়িত্ব পালন শেষে তার নিয়োগপ্রাপ্ত এলাকায় (হেডকোয়ার্টার্স) হলে ১২ ঘণ্টা এবং এলাকার বাইরে (আউটার স্টেশন) হলে ৮ ঘণ্টা বিশ্রামের সুযোগ পান। রেলওয়ের স্বার্থে কোনো রানিং স্টাফকে তার বিশ্রামের সময়েও কাজে যুক্ত করলে বাড়তি ভাতা-সুবিধা দেওয়া হয়, যা রেলওয়েতে ‘মাইলেজ’ সুবিধা হিসেবে পরিচিত।

২০২১ সালের ৩ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় মাইলেজ সুবিধা সীমিত করতে রেল মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়। ওই চিঠিতে আনলিমিটেড মাইলেজ সুবিধা বাদ দিয়ে তা সর্বোচ্চ ৩০ কর্মদিবসের সমপরিমাণ করা এবং বেসামরিক কর্মচারী হিসেবে রানিং স্টাফদের পেনশন ও আনুতোষিক ভাতায় মূল বেতনের সঙ্গে পাওয়া কোনো ভাতা যোগ করার বিষয়টি বাদ দেওয়া হয়। এরপরই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন রানিং স্টাফরা।

বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক-কর্মচারীদের অবসরোত্তর ৭৫ শতাংশ মাইলেজ মূল বেতনের সঙ্গে যোগ করে পেনশন নির্ধারণের বিধান প্রায় ১৬০ বছর ধরে চলমান ছিল। কিন্তু ২০২০ সালে রেলওয়ের কোডিফাইড রুল অমান্য করে রানিং স্টাফদের পার্ট অব পে হিসেবে গণ্য মাইলেজ, যা যুগ যুগ ধরে বেতন খাতের অংশ ছিল, সেখান থেকে সরিয়ে টিএ খাতে নেওয়ার ফলে জটিলতা তৈরি হয়।

রানিং স্টাফরা মাইলেজ সুবিধা পুনর্বহালের দাবিতে দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন করছেন। কয়েক দফায় অতিরিক্ত কাজ থেকে বিরত থাকা এবং ধর্মঘট পালন করেছেন তারা। তবে বিভিন্ন সময়ে রেলওয়ের মহাপরিচালক, রেলসচিব, রেলমন্ত্রীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্বাসে আন্দোলন থেকে সরে আসেন তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো সমাধান না হওয়ায় ২৮ আগস্ট থেকে টানা কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।

 

ডিবিসি/কেএলডি

আরও পড়ুন