বাংলাদেশ, জেলার সংবাদ

মন্দিরে অগ্নিকাণ্ড: সন্দেহের বশে ২ শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা

ফরিদপুর প্রতিনিধি

ডিবিসি নিউজ

শুক্রবার ১৯শে এপ্রিল ২০২৪ ০৪:৩৪:৫৩ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

ফরিদপুরের মধুখালী ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীতে একটি কালি মন্দিরে আগুন দেওয়াকে কেন্দ্র করে পাশের পঞ্চপল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজের নির্মান শ্রমিকদের ওপর সন্দেহের বশে হামলা করে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। তাদেরকে হাত-পা দড়ি দিয়ে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বরোচিত ভাবে নির্যাতন (পিটিয়ে) করলে ঘটনাস্থলেই ২ শ্রমিকের মৃত্যু হয়।

ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মৃত শ্রমিকদের পুড়িয়ে দিতে গেলে শতশত রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে তাদেরকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় পুলিশ হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আরও সাত নির্মাণ শ্রমিককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। তাদের মধ্যে একজনকে দ্রুত অবস্থায় ঢাকার প্রেরণ করা হয়।

পরবর্তীতে রাজবাড়ী, মাগুরা ও ফরিদপুর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এসে ৬ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ হয় আনে। এ ঘটনায় সকালে ওই এলাকায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়। এছাড়াও জেলার বিভিন্নস্থানে পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে। দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মারুফ হোসেন।

 

এদিকে ঘটনার মূল তথ্য উদঘাটনের জন্য জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। তারা আগামী তিন কর্ম দিবসের মধ্যে প্রকৃত ঘটনার প্রতিবেদন দেবেন। তাদের প্রতিবেদনের আলোকেই পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন জানিয়েছেন।

 

তদন্ত কমিটিতে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকীকে আহবায়ক করে মধুখালী সার্কেল মিজানুর রহমান ও আনসার কমান্ডারকে সদস্য করে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়।

 

অপরদিকে পুলিশের তরফ থেকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমদাদ হোসেনকে প্রধান করে মধুখালী সার্কেল মিজানুর রহমান ও মধুখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত সফিউল আলমকে সদস্য করে তিন সদস্যর আরও একটি কমিটি করা হয়।

 

মধুখালীর এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফরিদপুর শহর ও এর আশেপাশের এলাকা প্রশাসনের তরফ থেকে করা নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

 

ডিবিসি/ এইচএপি
 

আরও পড়ুন