ফরিদপুরের মধুখালী ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীতে একটি কালি মন্দিরে আগুন দেওয়াকে কেন্দ্র করে পাশের পঞ্চপল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজের নির্মান শ্রমিকদের ওপর সন্দেহের বশে হামলা করে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। তাদেরকে হাত-পা দড়ি দিয়ে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বরোচিত ভাবে নির্যাতন (পিটিয়ে) করলে ঘটনাস্থলেই ২ শ্রমিকের মৃত্যু হয়।
ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মৃত শ্রমিকদের পুড়িয়ে দিতে গেলে শতশত রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে তাদেরকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় পুলিশ হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আরও সাত নির্মাণ শ্রমিককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। তাদের মধ্যে একজনকে দ্রুত অবস্থায় ঢাকার প্রেরণ করা হয়।
পরবর্তীতে রাজবাড়ী, মাগুরা ও ফরিদপুর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এসে ৬ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ হয় আনে। এ ঘটনায় সকালে ওই এলাকায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়। এছাড়াও জেলার বিভিন্নস্থানে পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে। দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মারুফ হোসেন।
এদিকে ঘটনার মূল তথ্য উদঘাটনের জন্য জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। তারা আগামী তিন কর্ম দিবসের মধ্যে প্রকৃত ঘটনার প্রতিবেদন দেবেন। তাদের প্রতিবেদনের আলোকেই পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন জানিয়েছেন।
তদন্ত কমিটিতে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকীকে আহবায়ক করে মধুখালী সার্কেল মিজানুর রহমান ও আনসার কমান্ডারকে সদস্য করে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়।
অপরদিকে পুলিশের তরফ থেকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমদাদ হোসেনকে প্রধান করে মধুখালী সার্কেল মিজানুর রহমান ও মধুখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত সফিউল আলমকে সদস্য করে তিন সদস্যর আরও একটি কমিটি করা হয়।
মধুখালীর এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফরিদপুর শহর ও এর আশেপাশের এলাকা প্রশাসনের তরফ থেকে করা নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
ডিবিসি/ এইচএপি