বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলে মরিচের চাষ করা হয়। আমাদের দেশের অনেক জায়গায় এখন ব্যবসায়িক ভিত্তিতে মরিচ চাষ ও বাজারজাত করা হচ্ছে। বাংলাদেশে রয়েছে অসংখ্য জাতের মরিচ। যেমন ধানি মরিচ, লাল মরিচ, কামরাঙ্গা মরিচ, সিমলা মরিচ, উল্টা মরিচ, বেলুন মরিচ, লঙ্কা মরিচ ও বোম্বাই মরিচ ইত্যাদি। মরিচ চাষের জন্য উর্বর দো-আঁশ মাটি উপযুক্ত।
মরিচ (Chilli) এর বৈজ্ঞানিক নাম Capsicun annuum। ক্যাপসিকাম (Capsicum) গণের সোলানেসি (Solaneceae) পরিবারের উদ্ভিদের ফলকে সাধারণভাবে মরিচ বলা হয়ে থাকে। মরিচে আমরা পাই দারুণ সব স্বাস্থ্য উপকারিতা।
মরিচের পুষ্টিগুণের পরিমাণ......
মরিচের পুষ্টিগুণ অসামান্য। শুধু একটি মাত্র কাঁচা মরিচে থাকে ১০৯ দশমিক ১৩ মিলিগ্রাম (১৮২%) ভিটামিন সি। একই ভাবে লাল মরিচে প্রতিটিতে থাকে ৬৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি (১০৮%)। প্রতি ১০০ গ্রাম সার্ভিং পরিমাণের মধ্যে থাকে ৪০ খাদ্যশক্তি। চর্বি, কোলেস্টেরল সোডিয়ামের পরিমাণ থাকে শূন্য শতাংশ। শর্করা ৩%, খাদ্য আঁশ ৬%, ভিটামিন এ ২৪%, ভিটামিন সি ৪০৪%, ক্যালসিয়াম ২%, আয়রণ ৭%, ভিটামিন ই ৩%, ভিটামিন কে ১৮%, থায়ামিন ৬%, রায়বোফ্লভিন ৫%, নিয়াসিন ৫%, প্যান্টোথেনিক এসিড ৫%, ভিটামিন বি-৬ ১৪%, ফলিক এসিড ৬%, পটাশিয়াম ১০% এবং মাঙ্গানিজ ১২% ইত্যাদি।
মরিচের উপকারিতা.......
১. কাঁচা মরিচের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি শরীরকে জ্বর, সর্দি, কাশি থেকে রক্ষা করে।
২. নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে নার্ভের বিভিন্ন সমস্যা ভালো হয়।
৩. কাঁচা মরিচ রক্তের কোলেস্টেরল কমায়।
৪. কাঁচা মরিচে অবস্থিত ক্যাপসাইসিন খাদ্যে থাকা উচ্চমাত্রার চর্বি চুষে নিয়ে শরীরে মেদ রোধ করতে সাহায্য করে।
৫. প্রতিদিন কাঁচা মরিচ খেলে ত্বকে সহজে বলিরেখা পড়ে না।
৬. প্রতিদিন একটি করে কাঁচা মরিচ খেলে রক্ত জমাট বাধার ঝুঁকি কমে যায়।
৭. যেকোনো ধরণের কাটা-ছেড়া কিংবা ঘা শুকানোর জন্য মরিচ খুবই উপকারী।
ডিবিসি/এনএম