চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশই ঢাকার বাইরের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মফস্বলে প্রাথমিক পর্যায়ে ডেঙ্গু সনাক্ত না হওয়ায় শেষ মুহুর্তে রোগীদের অবস্থা চলে যাচ্ছে আশঙ্কাজনক পর্যায়ে। এদিকে, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে এলাকাভিত্তিক ম্যাপিংয়ের কাজ করছে আই-ই-ডিসিআর।
কোরবানি ঈদের পরপরই বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশালসহ দক্ষিণের বিভিন্ন জেলায় প্রাদুর্ভাব ঘটতে থাকে মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর। প্রাথমিক অবস্থায় প্রস্তুতি না থাকায় পরিস্থিতি মোকাবিলায় হিমশিম খেতে হয় স্বাস্থ্য বিভাগকে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, পাঁচ বছরে ডেঙ্গুর ভৌগোলিক বিস্তারে পরিবর্তন ঘটেছে। ২০২১ সালেও ডেঙ্গুর বিস্তার ছিল মূলত ঢাকাকেন্দ্রিক। সেবার রোগীর ৮৩ শতাংশই ছিলো রাজধানীতে। সেই চিত্র সম্পূর্ণ পালটে ২০২২ ও ২৩ সালে রোগীর সংখ্যা ঢাকাকে ছাড়িয়ে যায় বাইরের জেলাগুলোতে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মুশতাক হোসেন বলেন, মশাবাহিত রোগের প্রতিরোধ পরিকল্পনা সবকিছুই নগরকেন্দ্রিক হওয়ায় গ্রামাঞ্চলে বেড়েছে প্রাদুর্ভাব।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখার পরিচালক আবু হোসাইন মইনুল আহসান বলেন, ডেঙ্গুর ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা শনাক্ত করতে কাজ করছে সরকারের। যেকোন জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশের হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ডিবিসি/ এইচএপি