সোমবার (২১শে জুলাই ) দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার মর্মান্তিক ঘটনায় বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় দেশজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো এই ঘটনায় গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
বিমানটি ভবনের ওপর আছড়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিকট শব্দ হয় এবং আগুন ধরে যায়, যার ফলে বহু মানুষ হতাহত হন। এই হৃদয়বিদারক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। ঘটনার পরপরই দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাজধানীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ছুটে যান এবং আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। এ সময় তিনি এই দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের জোর দাবি জানান।
অন্যদিকে, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী উত্তরা আধুনিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান। তিনি এমন একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় প্রশিক্ষণ বিমান পরিচালনার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং এর নিরাপত্তা ঝুঁকি খতিয়ে দেখার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানও এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি হতাহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানের কথা জানিয়েছেন। নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এই বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় শোক জানিয়েছে। দলটি খাগড়াছড়িতে তাদের 'জুলাই পদযাত্রা' কর্মসূচির শেষে এক সমাবেশে নিহতদের আত্মার শান্তি এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করে। এছাড়াও, এই দুর্ঘটনার কারণে দলটি তাদের 'জুলাই পদযাত্রা'র অধীনে থাকা ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরের সকল কর্মসূচি স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে। দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ভবিষ্যতে এমন বিপর্যয় এড়াতে সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
ডিবিসি/এনএসএফ