প্রতিষ্ঠানটিতে এনআইসিইউ থাকলেও নেই পেডিয়াট্রিক আইসিইউ।
রাজধানীর মাতুয়াইল শিশু মাতৃসদন হাসপাতালে শিশু রোগী মারা যাওয়ার সংখ্যা কিছুটা বেড়ে গেছে। অপরিণত শিশুর জন্মহার বৃদ্ধি এবং নানা জটিল রোগই এসব মৃত্যুর কারণ বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এদিকে হাসপাতালটির তিন চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হওয়ায় সেবা দিতে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
স্বল্প খরচে শিশু ও মায়েদের ভালো চিকিৎসা পাওয়া যায় বলেই দিনে প্রায় এক হাজার শিশু এবং পাঁচশ'র বেশি প্রসূতি মা সেবা নিতে আসেন রাজধানীর মাতুয়াইলে অবস্থিত শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটে।
হাসপাতালটিতে সম্প্রতি সর্দি-জ্বর-ঠাণ্ডা ও পাতলা পায়খানার সমস্যা নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসা শিশু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে গেছে। দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা: গোলাম কবির বলেন, বেশিরভাগ শিশুই জ্বর, ঠান্ডা, স্কিন ইনফেকশন, ডায়রিয়া এসব সমস্যা নিয়েই এখানে এসে থাকে।
আর গেল একমাসে হাসপাতালটিতে ভর্তি বেশ কয়েকটি শিশু মারা গেছে বলে জানা গেছে।
ডাক্তার স্বল্পতা ও শিশুরোগী মারা যাওয়ার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, এনআইসিইউ থাকলেও পর্যাপ্ত পেডিয়াট্রিক আইসিইউ নেই তাদের।
শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ডা. এম এ মান্নান বলেন, আমরা চেষ্টা করি তারপরও এখানে মৃত্যুহার বেশি। গত কয়েকদিনে দেখা গেছে কোন মৃত্যু নেই, আবার একদিনেই দেখা গেছে দুইজন শিশু মারা গেছে যা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। যতটুকু চিকিৎসা দেয়া সম্ভব আমরা দিচ্ছি।
করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারলে সবকিছু আবার স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশাবাদী হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা।