মাথা ঘোরা কবলে পড়েননি এমন কেউ নাই। কিন্তু অনেকেই মানতে চাননা বিষয়টি তার কারন এটা যেকোন সময়ে হুট করে আসে আবার হুট করে চলে যায়।
অনেক কারণেই মাথা ঘোরার সমস্যা হতে পারে। রক্তের চাপ কমে যাওয়া, হার্টের কার্যক্রমে সমস্যা, রক্তস্বল্পতা, হাইপোগ্লাইসেমিয়া, হিটস্ট্রোক, দৃষ্টিশক্তির সমস্যা, মাইগ্রেন, উদ্বেগজনিত সমস্যা, মাথায় আঘাত ইত্যাদি কারণে মাথা ঘুরতে পারে।
এ ছাড়া পানিস্বল্পতা, মোশন সিকনেস, মানসিক চাপ, হরমোনের পরিবর্তন, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইত্যাদি কারণে এ সমস্যা হতে পারে। মাথাব্যথা, দুর্বলতা, শ্বাস- প্রশ্বাসে অসুবিধা, বমি অথবা বমি বমিভাব ইত্যাদি মাথা ঘোরার লক্ষণ। মাথা ঘোরার সমস্যা কমাতে কিছু ঘরোয়া উপায় -
পানিস্বল্পতার কারণে অনেক সময় মাথা ঘোরার সমস্যা হয়। এমন হলে পানি পান করুন। প্রতিদিন অন্তত ১০ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করুন। পাশাপাশি আপনি সামান্য মধু দিয়ে ভেষজ চা পান করতে পারেন। এ ছাড়া খেতে পারেন ফলের জুস।
আদা বমি ও বমিভাব কমাতে উপকারী। এটি মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে, দ্রুত মাথা ঘোরার সমস্যা কমায়। তাই মাথা ঘোরার সমস্যা হলে এক টুকরো আদা চিবিয়ে খান। পাশাপাশি খেতে পারেন আদা চা।
রক্তে সুগারের মাত্রা কমে গেলে, বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে মাথা ঘোরার সমস্যা হতে পারে। তাই এমন হলে স্বাস্থ্যকর কোনো স্ন্যাকস খান। এতে সমস্যা কমতে সাহায্য হবে। এ ক্ষেত্রে উচ্চ পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট রয়েছে এমন খাবার খেতে পারেন। যেমন : চকলেট, কলা খেতে পারেন। পাশাপাশি বাদাম খেতে পারেন। যেমন: কাঠবাদাম, ওয়ালনাট ইত্যাদি।
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া স্নায়ু পদ্ধতিকে ভালো রাখে। এতে রক্তস্বল্পতা, রক্তচাপ কমে যাওয়া ইত্যাদি প্রতিরোধ হয়। এ ক্ষেত্রে খাদ্য তালিকায় আয়রন, ভিটামিন এ, ফলিস এসিড ও আঁশযুক্ত খাবার রাখুন।
অনেক সময় পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলেও মাথা ঘোরার সমস্যা হয়। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম নিন। প্রতিদিন অন্তত সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমান।
মাথা ঘোরা অনুভব করলে এক জায়গায় বসে জোরে জোরে শ্বাস নিন। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন পৌঁছলে অনেক উপকার পাবেন। প্রতিদিনের ডায়েটে যদি শাক-সবজি, ফল ও নানা ধরনের প্রোটিন রাখা যায় তাহলে মাথা ঘোরানোর সমস্যা হওয়ারই কথা নয়।