বাংলাদেশ, জেলার সংবাদ

মাদকসহ ধরা পড়লেও বিএনপি নেতাকে দেয়া হলো না মাদক মামলা!

টাঙ্গাই‌ল প্রতিনিধি

ডিবিসি নিউজ

বুধবার ১৩ই আগস্ট ২০২৫ ০৯:২২:৫৯ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

টাঙ্গাইলে সেনাবাহিনীর অভিযানে এক বিএনপি নেতাসহ ৩৪ জনকে জুয়া খেলার সময় আটক করার পর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ঘটনাস্থল থেকে মাদক ও সংশ্লিষ্ট উপকরণ উদ্ধার করা হলেও পুলিশ কেবল জুয়া আইনে মামলা দায়ের করেছে।

অভিযান শেষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ছবিতে দেখা যায়, আটক ব্যক্তিদের সামনে খালি মদের বোতল, গাঁজা, গাঁজা কাটার যন্ত্র (গ্রাইন্ডার), তাস এবং বিপুল পরিমাণ টাকা রাখা আছে। এত সুস্পষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা না হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে নানা প্রশ্ন ও ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেছেন, ছবিতে মাদকদ্রব্য স্পষ্টভাবে দেখা গেলেও পুলিশ বিষয়টি এড়িয়ে গেছে। তাদের মতে, প্রভাবশালী অভিযুক্তদেরকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে রক্ষা করার জন্য পুলিশ এই কাজ করেছে এবং আটককৃতদের ডোপ টেস্ট করা হলেই সত্য বেরিয়ে আসতো।

 

এই বিতর্কের বিষয়ে মানবাধিকারকর্মী ও প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আতাউর রহমান আজাদ বলেন, ছবিতে প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও মামলায় মাদকদ্রব্যকে আলামত হিসেবে উপস্থাপন না করা আইনের পরিপন্থী।

 

সেনাবাহিনীর অভিযান পরিচালনাকারী একটি সূত্র জানিয়েছে, তারা গাঁজা, মদের বোতল এবং অন্যান্য উপকরণ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছিল। কিন্তু টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উভয়েরই দাবি, সেনাবাহিনী তাদের কাছে কোনো মাদকদ্রব্য দেয়নি এবং মদের বোতলগুলো খালি থাকায় মাদক মামলা করার সুযোগ ছিল না। ফলে, কেবল জুয়া আইনে মামলা হওয়ায় আটককৃত সবাই মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যেই আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন, যা নিয়ে সমালোচনা আরও তীব্র হয়েছে।

 

 

ডিবিসি/এফএইচআর

আরও পড়ুন