রোহিঙ্গাদের জন্য আলোচিত মানবিক করিডর ইস্যুতে বেইজিং জড়িত নয় বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত। তবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীন সহযোগিতা করবে বলেও জানান তিনি। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্তের ওপর জোরও দেন রাষ্ট্রদূত। বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউশন অব ইন্টারন্যাশনাল এন্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডি আয়োজিত এক আয়োজনে এসব কথা বলেন তিনি।
এছাড়াও ৫ দশকে ঢাকা-বেইজিং সম্পর্কের নানান বিষয়ের পাশাপাশি ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন বিশেষজ্ঞরা। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মেগা প্রকল্প ও অর্থনৈতিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলো এগিয়ে নিতে চীনের সাথে সু সম্পর্কের বিকল্প নেই। তবে দু'পক্ষের মতামত ও কৌশলগত ভাবেও সুসম্পর্ক থাকা উচিত। কিন্তু বাংলাদেশের স্বার্থ নিশ্চিত করতে হবে সবার আগে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, গত পাঁচ দশকে বৈশ্বিক ও জাতীয় পর্যায়ে যে পরিবর্তন ঘটেছে সে প্রেক্ষাপটে দুটি কারণে চীনের সাথে সব সময় বাংলাদেশের সম্পর্ক ভালে রয়েছে। চীন কখনো রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করেনি আর বাংলাদেশের সকল অংশীদারের সাথে সু-সম্পর্ক রেখেছে।
এ সময় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও মানবিক করিডর ইস্যুতে কথা বলেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত। বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, মানবিক করিডর ইস্যুতে চীন জড়িত নেই। এটি জাতিসংঘ, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের বিষয়। তবে রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রত্যাবাসন ছাড়া সমাধান নেই। তবে আমরা দৃঢ ভাবে বলছি চীন সবসময় বাংলাদেশের মানুষের পাশে থাকবে। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা প্রসঙ্গে উভয় দেশকে শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে শান্ত ও সংযমী হবার আহ্বানও জানান তিনি। বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন ও সংস্কারে বেইজিং ঢাকার পাশে থাকবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ডিবিসি/ অমিত