মানবিক করিডোর বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের বিষয়। তাদের সম্মতি পেলে সহায়তা করবে জাতিসংঘ বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস। তিনি আরও জানান, সংস্কার নাকি নির্বাচন আগে তা বাংলাদেশের জনগণ এবং সরকার ঠিক করবে, এটি জাতিসংঘের এখতিয়ারের বিষয় নয়।
ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ-ডিক্যাব টকের এবারের অতিথি জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস। বুধবার (৪ঠা জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এই আয়োজনে প্রশ্ন আসে রাখাইনে করিডোর, নির্বাচন এবং ঢাকায় জাতিসংঘের নতুন অফিস খোলা নিয়ে।
জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের কথা বলা আছে। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে গোয়েন লুইস বলেন, জাতিসংঘের বিবেচনায় অন্তর্ভুক্তিমূলক বলতে নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় প্রত্যেক নাগরিকের ভোট দেবার কথা বলা হয়েছে, এর সাথে কোন রাজনৈতিক দল অংশ নিল বা না নিল তার কোনও সম্পর্ক নেই।
রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে বেশ কথা চলছে। ঠিক কোনটি আগে হবে, এমন এক প্রশ্নে তিনি বলেন, এ সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জনগণ, সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলো।
করিডোর নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এটি আইনী বিষয়, এর জন্য দুটি সার্বভৌম দেশের মধ্যে আলোচনা প্রয়োজন হয়। যদি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে কোনো চুক্তি হয় জাতিসংঘ সহায়তা করবে তবে এখনো সেরকম কিছু হয়নি। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক ছোট অফিস খোলার কথা নিশ্চিত করেন গোয়েন লুইস।
ডিবিসি/এনএসএফ