হাসপাতালে মৃত্যু হাওয়ার পর বাড়িতে এনে বাবার শেষকৃত্যও সম্পন্ন হয়েছে। এরপর ‘ডেথ সার্টিফিকেট’ (মৃত্যু সনদ) আবেদন করেন মৃতের ছেলে। আবেদনের প্রেক্ষিতে পেয়ে যান বাবার মৃত্যু সনদ। তবে সনদে বাবার নামের জায়গায় লেখা হয়েছে ছেলের নাম। এ নিয়ে শুরু হয়েছে শোরগোল।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। ভারতীয় গণমাধ্যম এ বিষয়ে জানায়, জেলার চন্দ্রকোনা পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কমরগঞ্জের বাসিন্দা উত্তম নন্দী। ৫৪ বছরের এই বৃদ্ধ কৃষি কাজ করতেন। বিষপান করায় উত্তমকে ২০২৩ সালের ১৭ নভেম্বর দুপুরে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেদিনই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। পরে ইস্যু করা মৃত্যু সনদে দেখা যায়, মৃতের নামের জায়গায়, উত্তমের ছোট ছেলে বলরাম নন্দীর নাম!
বলরাম আক্ষেপ করে বলেন, ‘এমন ভুলও হয়! তার কথায়, ‘বাবা মারা যাওয়ার পর মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ডেথ সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করি। আবেদনের ভিত্তিতে গত ১৭ জানুয়ারি আমার মোবাইলে একটি মেসেজ আসে। সেই মেসেজে একটি ‘লিঙ্ক’ দিয়ে জানানো হয়, আমার বাবার ডেথ সার্টিফিকেট ‘সাবমিট’ হয়ে গেছে। মেসেজের সঙ্গে দেয়া লিঙ্ক থেকে বাবার ডেথ সার্টিফিকেট ডাউনলোড করতে গিয়ে দেখি অদ্ভুত কাণ্ড! মৃতের জায়গায় লেখা আছে আমার নামই।’
বলরাম মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কাজে গাফিলতির অভিযোগ করেছেন। সেই সঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, অবিলম্বে ভুল সংশোধন করে, কর্তৃপক্ষ যেন শিগগিরই তার বাবার নামে মৃত্যুর সনদ ইস্যু করে। অভিযোগের বিষয়ে যোগাযোগ করলে হাসপাতালের সুপার জয়ন্ত কুমার রাউত ভারতীয় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কী হয়েছে তা জানা নেই। এখনও পর্যন্ত আমার কাছে এই অভিযোগ আসেনি। তবে কোনও প্রযুক্তিগত সমস্যা হয়ে থাকলে সেটা আমরা দেখবো। সেখানে যদি দেখা যায়, আমাদের তরফে কোনও ভুল হয়েছে, তাহলে তা সংশোধন করে নেয়া হবে।’
ডিবিসি/কেএলডি