শনিবার (২৬শে জুলাই) ব্যাংকের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই অনন্য অর্জনের ঘোষণা দেওয়া হয়। এই সাফল্যকে ব্যাংকটির শক্তিশালী আর্থিক ভিত্তি, অসামান্য পারফরম্যান্স এবং দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অবিচল আস্থার এক উজ্জ্বল প্রতিচ্ছবি হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ব্র্যাক ব্যাংকের ধারাবাহিক সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছে এর শক্তিশালী কর্পোরেট সুশাসন, আর্থিক সক্ষমতা এবং দেশি ও বিদেশি ক্রেডিট রেটিং সংস্থা থেকে প্রাপ্ত দেশের সর্বোচ্চ ক্রেডিট রেটিং। মূল্যবোধ-ভিত্তিক ও সুশাসন মেনে চলায় ব্যাংকটি দেশের ব্যাংকিং খাতে একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। প্রায় সব প্রধান আর্থিক সূচকেই ব্র্যাক ব্যাংক তার শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে।

দেশের পুঁজিবাজারে একটি ব্লু-চিপ বা শীর্ষস্থানীয় স্টক হিসেবে বিবেচিত ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ারের মূল্য সম্প্রতি ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ছিল। গত ২১শে জুলাই, ব্যাংকটির প্রতিটি শেয়ারের বাজারমূল্য ৬৩.৭০ টাকায় উন্নীত হয়, যা এর অভিহিত মূল্য (ফেস-ভ্যালু) ১০ টাকার চেয়ে বহুগুণ বেশি। এই বাজারমূল্যের ওপর ভিত্তি করেই ব্যাংকটির মোট বাজার মূলধন এক বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়।

ব্যাংকের ১৯৯ কোটি তালিকাভুক্ত শেয়ারের মধ্যে ৪৬.১৭ শতাংশের মালিকানা রয়েছে ডিরেক্টর ও স্পনসরদের হাতে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ধারণ করছেন ৩৩.৭৯ শতাংশ শেয়ার, যা বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে সর্বোচ্চ। এছাড়া, স্থানীয় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ১৩.২৮ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৬.৭৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

৫ হাজার কোটি টাকার অনুমোদিত এবং ১ হাজার ৯৯১ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক আর্নিং পার শেয়ার (ইপিএস), রিটার্ন অন ইক্যুইটি (আরওই), রিটার্ন অন অ্যাসেট (আরওএ), এবং কর-পরবর্তী মুনাফার মতো গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক সূচকগুলোতে ধারাবাহিক ও লক্ষণীয় প্রবৃদ্ধি অর্জন করে চলেছে। একই সাথে, ব্যাংকটির নন-পারফর্মিং লোন (এনপিএল) বা খেলাপি ঋণের পরিমাণও অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে রয়েছে।

এই ঐতিহাসিক অর্জন সম্পর্কে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও (চলতি দায়িত্ব) তারেক রেফাত উল্লাহ খান বলেন, "বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র ব্যাংক হিসেবে মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশনে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করতে পেরে আমরা অত্যন্ত গর্বিত ও আনন্দিত। এই মাইলফলকটি আমাদের শেয়ারহোল্ডার ও গ্রাহকদের অবিচল আস্থারই প্রতিফলন।"

তিনি আরও যোগ করেন, "এই সাফল্য আমাদের শক্তিশালী সুশাসন সংস্কৃতি, বিচক্ষণ আর্থিক ব্যবস্থাপনা এবং দীর্ঘমেয়াদে ভ্যালু ও ইতিবাচক প্রভাব তৈরির প্রতিশ্রুতিকে সবার সামনে তুলে ধরেছে। আমরা ভবিষ্যতেও টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকব।"

ডিবিসি/আরএসএল