মিনায় পৌঁছেছেন বাংলাদেশের হজযাত্রীরা। অন্যান্য দেশের হজযাত্রীরাও মিনায় সমবেত হয়েছেন। বাংলাদেশি হজযাত্রীদের হজ ব্যবস্থাপনা মনিটরিং দলের দলনেতা ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন এবং ধর্মসচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামানিকও এখন মিনায় অবস্থান করছেন।
স্থানীয় সময় ৮ই জিলহজ্ব মিনায় আগমনের মাধ্যমেই শুরু হয়েছে হজের আনুষ্ঠানিকতা। সৌদি সরকারের নির্দেশনায় গতকাল মঙ্গলবার (৩রা জুন) রাত থেকেই হাজীরা মিনায় আসতে শুরু করেন। হাজীদের আগমন নির্বিঘ্ন করতেই এরূপ নির্দেশনা জারি করে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়।
মিনার বিস্তীর্ন প্রান্তর এখন 'লাব্বাঈক আল্লাহুম্মা লাব্বাঈক' ধ্বনিতে মুখরিত। বিত্ত-বৈভব, কামনা-বাসনাকে পরিত্যাগ করে হাজীরা আল্লাহর সান্নিধ্য ও ক্ষমাপ্রত্যাশী। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনায় হাজীদের মন ব্যাকুল। তারা পাপতাপের জন্য অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়।
হাজীদের পরিধেয় সেলাইবিহীন শুভ্র দু’টুকরো কাপড়। আজ তারা ধনসম্পত্তির জন্য লালায়িত নয় মোটেও। তারা আল্লাহর অনুগ্রহ পেতে চায়। তারা আল্লাহর ক্ষমা পেয়ে পরিশুদ্ধ হতে চায়। সদ্যভূমিষ্ট শিশুর মতো নিষ্পাপ হতে চায়।
মিনা হতে বুধবার রাতেই আরাফাতে রওয়ানা হবেন হাজীরা। ভীড় ব্যবস্থাপনার জন্য আগেভাগেই হাজীদেরকে আরাফাতে নিতে বলেছে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। আগামীকাল ৯ই জিলহজ্ব সূর্য পশ্চিম আকাশে হেলে পড়ার পর থেকে সূর্যাস্ত যাওয়ার পূর্বে কিছু সময় আরাফার ময়দানে অবস্থান করা ফরজ। এরপর হাজীরা মাগরিবের নামাজ না পড়েই মুজদালিফার উদ্দেশে রওয়ানা হবেন। মুজদালিফায় পৌঁছে হাজিরা মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করবেন এবং মুজদালিফায় রাত্রিযাপন করবেন।
এবছর সারাবিশ্ব থেকে প্রায় ১৪ লাখ ৭০ হাজার হজযাত্রী হজপালনের জন্য সৌদি আরবে এসেছেন। স্থানীয় হজযাত্রী মিলে এই সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। এর মধ্যে বাংলাদেশি হজযাত্রীর সংখ্যা ৮৬ হাজার ৯৫৮ জন।
ডিবিসি/এএনটি