দেশের সবচেয়ে বড় কবুতরের হাট এখন রাজধানীর মিরপুরে। শুক্রবার ভোর থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত বসা এই হাটে বিক্রি হয় হরেক রকমের কবুতর। দেশি-বিদেশি নানা জাতের একেক জোড়া কবুতরের দাম ৫শ’ থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র সিয়াম। অনেকটা শখের বশেই কবুতর পোষা। কিন্তু শান্তির দূত পায়রা যে তার আয়ের উৎস হতে পারে সেটি শিখিয়ে দিয়েছে মিরপুরের এই কবুতরের হাট।
সিয়াম জানান, 'শখও পূরণ হচ্ছে। এর সঙ্গে মাসিক কিছু হাতখরচও আসছে আমার।'
সিয়ামের মতো অনেক শিক্ষার্থীরই বিকল্প আয়ের পথ দেখাচ্ছে মিরপুরের হাটটি। প্রায় ৩০ বছর আগে শুরু হওয়া এই হাটে ক্রেতা-বিক্রেতা কাউকেই খাজনা দিতে হয়না। তবে মাঝেমধ্যেই বিপত্তি বাঁধায় পুলিশ।
হাটে কবুতর বিক্রি করতে আসা একজন জানান, 'এখানে বার বার প্রশাসনের লোকের এসে আমাদের উঠিয়ে দেয়। এই পাখি ও কবুতর দ্বারা অনেক শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থান হচ্ছে।'
মিরপুর-১ এ শাহ্ আলী মার্কেটের পাশেই শুক্রবারের এই হাট চলে ভোর পাঁচটা থেকে বিকেলে চারটা পর্যন্ত। এখানে কবুতর বেচাকেনা করতে আসেন রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলার হাজার হাজার কবুতরপ্রেমী।
পৃথিবীর প্রায় ২শ’ প্রজাতির কবুতরের মধ্যে অন্তত ৩০ প্রজাতির কবুতর পাওয়া যায় বাংলাদেশে। যার প্রায় সবগুলো প্রজাতিই মেলে এই হাটে। আর এদের নামও বেশ সুন্দর! চিলা, সিরাজী, হোমার, কিং, জ্যাকপিন, গোল্ডেন সুইট, গিরিবাজ ও হেমলেট। তবে বাংলাদেশি কবুতরের জাতের মধ্যে গিরিবাজই সবচেয়ে জনপ্রিয়।
নামের মতো কবুতরের দামেও আছে ভিন্নতা! একশ’, দুইশ থেকে শুরু করে ৩০/৪০ হাজার টাকার কবুতরও মেলে এই হাটে। তবে দেশির চেয়ে বিদেশি প্রজাতির কবুতরের দামই বেশি।
মিরপুরের এই হাট ছাড়াও রাজধানীর কাপ্তান বাজার, নিমতলী, মৌলভীবাজার, জিঞ্জিরা, কামরাঙ্গীরচর ও আমিনবাজারেও সপ্তাহে একদিন বসে কবুতরের হাট। তবে স্থানীয়দের দাবি এটিই দেশের সবচেয়ে বড় কবুতরের হাট।