বাংলাদেশ, জেলার সংবাদ

মৃত্যুর আগে একটা ভালো ঘরে রাত্রিযাপনের স্বপ্ন বিধবা নয়নতারার

পটুয়াখালী প্রতিনিধি

ডিবিসি নিউজ

শনিবার ২০শে জানুয়ারী ২০২৪ ১০:৩৪:১৯ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

নড়বড়ে খুঁটির সঙ্গে ত্রিপল ও পলিথিনের সঙ্গে সুতো দিয়ে পেঁচিয়ে দেওয়া খুপরি ঘরে বসবাস করেছেন বিধবা নয়নতারা। বৃদ্ধ নয়নতারার স্বপ্ন মৃত্যুর আগে একটা ভালো ঘরে রাত্রিযাপন করার। বিধবা নয়নতারার মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দেবে সরকার; এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।

সরেজমিনে দেখা যায়, এভাবেই পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার সদর ইউনিয়নের নড়বড়ে খুঁটির সঙ্গে ত্রিপল ও পলিথিনের সঙ্গে সুতো দিয়ে পেঁচিয়ে দেওয়া খুপরি ঘর। তাতে নেই ভালো বেড়া, রয়েছে ভাঙা দরজা। ঘরটিতে রয়েছে একটি ভাঙা টেবিলে রাখা কয়েকটি পাতিল, একটি ড্রাম। সেখানে রয়েছে মাটির মুরগির চাঙ। পাশে রয়েছে ছোট একটি খাট। সেখানে সকাল কিংবা রাত, রোদ-বৃষ্টি-শীত সারা বছর এই খুপরি ঘরে নানা দুর্ভোগে দিন কাটে বিধবা নয়নতারার।

বিধবা নয়নতারা বলেন, স্বামীর ঘরে শান্তি করতে পারছি। স্বামী মারা যাওয়ায় পরে সব শেষ। জমিজমা যা ছিল তাও নদী ভাঙনে সব শেষ। স্বামীর বলতে কিছু নেই। নিজের বলতে শুধু পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া বাড়ির এক কোণায় এটুকুই জায়গা। বিবাহিত দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। এক কন্যার স্বামী মারা গেছে। অপর কন্যা দুই সন্তান নিয়ে ঢাকা থাকে। সে মাসে দুই হাজার টাকা দেয়। সে টাকা দিয়ে চলেন তিনি। পাশাপাশি মানুষের বাড়িতে কাজ ও সাহায্যে চলে একার সংসার।

তিনি আরও বলেন, স্থানীয় মেম্বার, চেয়ারম্যান সব জানে। তারা ঘর দেয় না। অর্থাভাবের কারণেই ঘর তুলতে পারছেন না তিনি। বৃদ্ধ নয়নতারার স্বপ্ন মৃত্যুর আগে ভালো ঘরে রাত্রিযাপন করার।

স্থানীয় বাসিন্দা শুভ বলেন, এসময়ে এসেও নয়নতারার এমন কষ্টের দৃশ্য দেখতে হচ্ছে সত্যি পীড়াদায়ক। সরকার ও সমাজের বিত্তবানরা বৃদ্ধ বিধবা নয়নতারার পাশে দাঁড়ালে তিনি ভালোভাবে বাঁচতে পারতেন।

বিধবা নয়নতারার এক স্বজন বলেন, নয়নতারার আপন বলতে একমাত্র আল্লাহ। এছাড়া আর কেউ নাই। এই মানুষটা অনেক কষ্ট করে বেঁচে আছে। তার পাশে সমাজের বিত্তবান ও সরকারের দাঁড়ানো উচিত।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান বলেন, ইতোমধ্যে বিধবা নয়নতারার কষ্টের কথা শুনেছি। পরবর্তীতে তাকে সকল সুবিধার আওতায় আনা হবে।

ডিবিসি/আরপিকে

আরও পড়ুন