চাঁদপুরের হরিনাঘাটে মেঘনা নদীতে দুই লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ভোলার চারজনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার সকালে নিহতদের নিজ নিজ এলাকায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এর আগে শুক্রবার রাতেই ঢাকা থেকে নিহতদের মরদেহ নিয়ে ভোলার উদ্দেশ্যে রওনা হন স্বজনরা এবং শনিবার সকালে মরদেহগুলো বাড়িতে পৌঁছায়।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে লালমোহনের বদরপুর ইউনিয়নের কাজিরাবাদ গ্রামে নিহত আবদুল গণির জানাজা শেষে দাফন করা হয়। এরপর সকাল সাড়ে ১০টায় একই গ্রামের মান্নান মাস্টার বাড়ি জামে মসজিদের সামনে জানাজা শেষে অপর একজনের দাফন সম্পন্ন হয়।
অন্যদিকে বেলা ১১টার দিকে লালমোহন উপজেলার কচুয়াখালী গ্রামের পোশাক শ্রমিক মোসা. রিনা এবং চরফ্যাসন উপজেলার আহমদপুর ইউনিয়নের ফরিদাবাদ গ্রামের হানিফ মাঝির দাফন নিজ নিজ এলাকার পারিবারিক কবরস্থানে সম্পন্ন হয়েছে।
এ বিষয়ে ভোলার জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমান জানিয়েছেন, লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিহত চারজনের দাফন কাজ সম্পন্নের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যেক পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে চাঁদপুরের হাইমচরের হরিনাঘাট এলাকার মেঘনা নদীতে ভোলা থেকে ঢাকাগামী এমভি জাকির সম্রাট-৩ ও ঢাকা থেকে ঝালকাঠিগামী এমভি অ্যাডভেঞ্চার-৩ লঞ্চের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে চার যাত্রী নিহত ও তিনজন আহত হন। সংঘর্ষে জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চটির দোতলার মাঝামাঝি স্থান দুমড়েমুচড়ে যায়। এ ঘটনায় নৌ পুলিশ এমভি অ্যাডভেঞ্চার-৩ লঞ্চের চারজন কর্মীকে আটক করেছে।
ডিবিসি/আরএসএল