য়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আজ এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হলো ক্রীড়াবিশ্ব। একই ফ্রেমে বন্দি হলেন ক্রীড়া জগতের দুই মহাতারকা লিওনেল মেসি এবং শচীন টেন্ডুলকার। 'নাম্বার টেন' জার্সিধারী এই দুই কিংবদন্তি একে অপরের সাথে বিশেষ উপহার বিনিময় করে উপস্থিত হাজারো ভক্তকে মুগ্ধ করেন। এই বিশেষ মুহূর্তে শচীন টেন্ডুলকার তাঁর ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা স্মৃতি, ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের জার্সিটি মেসিকে উপহার হিসেবে তুলে দেন। এর প্রতিউত্তরে আর্জেন্টাইন সুপারস্টার মেসি শচীনকে ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের অফিশিয়াল বল উপহার দেন।
মেসির ভারত সফরের আজ ছিল দ্বিতীয় দিন। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে ওয়াংখেড়ের গ্যালারি থেকে 'মেসি... মেসি... শচীন... শচীন' স্লোগান উঠতে থাকে।
দুই ভিন্ন খেলার দুই ঈশ্বর যখন পাশাপাশি দাঁড়ান, তখন স্টেডিয়াম জুড়ে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। শচীনের দেওয়া জার্সিটি মেসি অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে গ্রহণ করেন, যা এক কিংবদন্তি থেকে আরেক কিংবদন্তির প্রতি সম্মানের প্রতীক হয়ে থাকে।
অনুষ্ঠানে মেসি গ্যালারির উদ্দেশ্যে ফুটবল কিক করেন এবং ওপরের তলার দর্শকদের নিরাশ না করে তাঁদের দিকেও বল পাঠান। এছাড়া তিনি একটি প্রদর্শনী পেনাল্টি গোল করেন এবং সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ ও রদ্রিগো ডি পলের সাথে তরুণ ফুটবলারদের নিয়ে কিছুটা সময় কাটান।
এই আয়োজনেই মেসি মহারাষ্ট্র সরকারের 'মহা-দেবা' প্রকল্পের উদ্বোধন করেন, যার লক্ষ্য হলো ফিফা-স্বীকৃত একাডেমিগুলোর মাধ্যমে তরুণ প্রতিভাবান ফুটবলারদের খুঁজে বের করা ও প্রশিক্ষণ দেওয়া। দিনশেষে ওয়াংখেড়ের এই সন্ধ্যাটি শুধুই উদযাপনের ছিল না, বরং দুই মহাতারকার প্রতি ভক্তদের কৃতজ্ঞতা জানানোর এক উপলক্ষ হয়ে ওঠে।
সূত্র: এনডিটিভি
ডিবিসি/এনএসএফ