দেশের আকাশে আজ পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে আগামীকাল মঙ্গলবার ঈদ।
ঈদে মেহেদি লাগানোর প্রচলন বেশ আগের থেকেই। গাঢ় রংয়ের মেহেদি যেমন দেখতে ভালোলাগে তেমনি একটা উৎসবের আমেজও সৃষ্টি করে।
মেহেদির রং গাঢ় করার সহজ কয়েকটি উপায়-
বাজারে বর্তমানে রাসায়নিক উপাদান মিশ্রিত মেহেদিই বেশি পাওয়া যায় যা দ্রুত রং দেয়। তবে একটু খোঁজাখুঁজি করলে প্রাকৃতিক রং দেয় এমন মেহেদিও পাওয়া যায়। তাছাড়া কেউ চাইলে নিজেই বাসায় মেহেদি বেটে ‘কোন’ তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন।
১. মেহেদি ব্যবহারের আগে হাত ভালো মতো ধুয়ে নিতে হবে। হাতে কোনো রকম তেল বা লোশন আগে হাতে ব্যবহার করা যাবে না। এতে মেহেদির রং ভালো মতো ত্বকে শোষিত হবে ও স্থায়ী হবে।
২. মেহেদি ব্যবহারের পরে কমপক্ষে এক ঘন্টা অপেক্ষা করা উচিত। এতে মেহেদির সঠিক রং পাওয়া যাবে।
৩. মেহেদি তুলে ফেলার পরে হাত না ধুয়ে তাতে এসেনশল অয়েল বিশেষ করে জোজোবা তেল ব্যবহার করা রং গাঢ় করতে সহায়তা করে। জোজোবা তেল মেহেদিতে থাকা কোনো রাসায়নিক উপাদানের কারণে হওয়া পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হ্রাস করতেও সহায়তা করে।
৪. জোজোবা তেল ছাড়াও, অন্যান্য তেল যেমন- সরিষা ও ইউক্যালিপটাস তেলও ব্যবহার করা যেতে পারে।
৫. মেহেদির রং গাঢ় করার আরেকটি বেশ কার্যকর পদ্ধতি হল, একটা তাওয়ায় লবঙ্গ গরম করে এর গুঁড়া অথবা আস্ত লবঙ্গ সহনীয় গরম থাকা অবস্থায় মেহেদিতে তাপ প্রয়োগ করতে হবে। এই তাপ মেহেদির রং কড়া করে ও স্থায়িত্ব বাড়ায়।
৬. সবচেয়ে প্রচলিত ও জনপ্রিয় উপায় হল মেহদি শুকিয়ে যাওয়ার পরে এর উপরে লেবু ও চিনির সংমিশ্রণ ব্যবহার করা। এতে মেহেদির রং গাঢ় হয়।
তবে মনে রাখতে হবে, এই মিশ্রণের অতিরিক্ত প্রয়োগ মেহেদির রং হালকাও করে ফেলতে পারে। তাই পরিমিত ব্যবহার করতে হবে।
এছাড়াও, মেহেদির রং কড়া করতে ও স্থায়িত্ব বাড়াতে ব্যবহারের পরবর্তি চব্বিশ ঘন্টা যতটা সম্ভব কম পানির সংস্পর্শে যাওয়া উচিত। সারারাত হাতে মেহেদি রেখে দিলে পর দিন সকালে রং বেশ কড়া হয়।