ময়মনসিংহ নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চরম অব্যবস্থাপনা এবং চিকিৎসকের অবহেলার কারণে গর্ভের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী নারী একজন পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী। এই ঘটনায় নগরীর ব্রাহ্মপল্লী রোডে অবস্থিত হেলথ কেয়ার প্রাইভেট হাসপাতাল নামক প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাসপাতালের মালিক ও ম্যানেজারসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী নারীর স্বজনদের অভিযোগ অনুযায়ী, জামালপুর থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জন্য রেফার্ড হওয়া গর্ভবতী নারীকে এক দালাল ভুল বুঝিয়ে নগরীর হেলথ কেয়ার প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে আসে। গত রবিবার (৩রা আগস্ট) সকালে এই ঘটনা ঘটে। হাসপাতালে ভর্তির পর দীর্ঘ প্রায় আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষা করেও কোনো চিকিৎসকের দেখা মেলেনি।
এই পরিস্থিতিতে রোগীর স্বজনরা তাকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লিফট বন্ধ করে দিলে তারা বিপাকে পড়েন। নিরুপায় হয়ে স্ট্রেচারে করে সিঁড়ি দিয়ে নামানোর সময় দুর্ভাগ্যবশত প্রসূতি নারী পড়ে যান, যার ফলে তার রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এতে গর্ভের শিশুটির মৃত্যু ঘটে। ভুক্তভোগী ওই নারী ময়মনসিংহ নগরীর ২ নম্বর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) লুৎফর হোসেনের স্ত্রী বলে জানা গেছে।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর স্বাস্থ্য বিভাগ তৎপর হয় এবং অবৈধভাবে পরিচালিত ওই হাসপাতালটি বন্ধ করে দেয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটককৃতরা হলেন হাসপাতালের মালিক, ম্যানেজার এবং সংশ্লিষ্ট দালাল। এই ঘটনায় শহরজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এবং বেসরকারি হাসপাতালের সেবার মান নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
ডিবিসি/এএমটি