বাংলাদেশ, জেলার সংবাদ

যমুনার পানি বেড়ে জামালপুরে নদী ভাঙন

Md. Shakil Sarder

ডিবিসি নিউজ

শনিবার ২১শে মে ২০২২ ০৪:৫৬:৩২ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

পাহাড়ি ঢলে যমুনা নদীর পানি বেড়ে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। গত দুদিনের ভাঙনে কুলকান্দি এলাকায় নদীর তীর রক্ষা বাঁধের ৩০ মিটার বিলীন হয়েছে। ভাঙন আতঙ্কে রাত কাটছে নদী তীরের মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত অংশে জিও ব্যাগ ফেলে নদী ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

পাহাড়ি ঢলে যমুনা নদীতে পানি বাড়ায় জামালপুরের ইসলামপুরে দেখা দিয়েছে আকস্মিক ভাঙন।

 

বুধবার বিকাল থেকে শুরু হওয়া নদী ভাঙনে এরই মধ্যে কুলকান্দি এলাকায় যমুনা তীর রক্ষা বাঁধের ৩০ মিটার অংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে কুলকান্দি শামসুন্নাহার উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হেদায়তিয়া মাদ্রাসা ও বাজারসহ শত শত স্থাপনা।

 

এলাকাবাসীরা বলেন, ’কুলকান্দি শামসুন্নাহার উচ্চ বিদ্যালয় বাজার, কুলকান্দি মাদ্রাসা, প্রাথমিক বিদ্যালয় সমস্ত কিছু বিপর্যয়ের মুখে পরেছে। তিনবার এমন ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। আর এর একটাই কারণ, যারা ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে আছেন, তারা সঠিকভাবে এ কাজটা করছে না। তিনভাগের দুইভাগই পানিতে চলে গেছে। আর যতটুকু আছে সেটাও চলে যাবে।’

 

এদিকে, হঠাৎ ভাঙন শুরু হওয়ায় ফসলি জমি আর বসতবাড়ি নিয়ে আতঙ্কিত নদী তীরের মানুষ। তাদের অভিযোগ, নদীর পাড় রক্ষায় বাঁধ নির্মাণ করলেও নিম্নমানের কাজ হওয়ায় অল্প সময়ের মধ্যেই তা ভেঙ্গে যাচ্ছে। এছাড়া, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে নদী ভাঙন আরও বাড়ছে বলেও অভিযোগ তাদের।

 

এলাকাবাসীরা জানায়, ভুট্টার আবাদ, বাদামের আবাদ এগুলো হচ্ছে না। সবকিছু ভেঙ্গে পানিতে চলে যাচ্ছে। এর কারণ, অবৈধভাবে বালু তোলার জন্য।

 

পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ক্ষতিগ্রস্ত অংশে এরইমধ্যে জিও ব্যাগ ফেলার পাশাপাশি ভাঙন ঠেকাতে কাজ করছে তারা।

 

জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু সাঈদ বলেন, ‘আমরা তাৎক্ষণিকভাবে জিও ব্যাগ ফেলার ব্যবস্থা করেছি। এর পাশাপাশি আমরা প্রয়োজনীয় সার্ভে  করছি এবং ভাঙ্গন রোধে আমারদর সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।’

 

সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে ২শ’ ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে আড়াই কিলোমিটার নদীর তীর সংক্ষরণ বাঁধ নির্মাণ এবং ৯ কিলোমিটার ড্রেজিং প্রকল্পের কাজটি ২০১৭ সালে শুরু হয়ে শেষ হয় ২০২০ সালে।

আরও পড়ুন