যশোরে করোনা ভাইরাসে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন বাঘারপাড়া উপজেলার জহুরপুর গ্রামের শেখ আমির হোসেন ও মনিরামপুর উপজেলার মাহমুদকাঠি গ্রামের ইউসুফ হোসেন।
গত পাঁচ দিনে যশোরে তিনজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আরও তিনজন সন্দেহভজন হিসেবে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ভোরে আমির হোসেন ও বুধবার রাত ১২টার দিকে ইউসুফ হোসেন মারা যান৷
মৃত্যুর মাত্র দুই ঘন্টা আগে ইউসুফের করোনা শণাক্ত হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাদের আইসিইউতে শিফট করা হয়েছিল।
এদিকে দেশে করোনা ভাইরাসের যে নতুন ধরন ছড়িয়েছে তাতে ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। এবারের ধরণকে আগের চেয়ে শক্তিশালী আখ্যা দিয়ে চিকিৎসক বলছেন, দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলার সক্ষমতা রয়েছে ভাইরাসটির। তবে আতঙ্কিত না হয়ে লক্ষণ দেখা মাত্র চিকিৎসকের শরনাপন্ন হবার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
নতুন করে করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কায় আগে থেকেই প্রস্তুত রাখা হয়েছে মহাখালীর ডিএনসিসি কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালকে। করোনা, ডেঙ্গুসহ নানা রোগের লক্ষণ নিয়ে প্রতিনিয়ত হাসপাতালটিতে ভীড় করছেন সাধারণ মানুষ।
আইসিডিডিআরবি'র তথ্যমতে, চলতি বছর সংক্রমণ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হলো, করোনার নতুন দুটি ধরণ এক্সএফজি ও এক্সএফসি। এগুলো ওমিক্রন জে এন ১ এর উপশাখা।
বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সাঈফ উল্লাহ মুন্সীর মতে, করোনার এবারের ধরণ সংক্রমণের ক্ষেত্রে আরো বেশি শক্তিশালী। এখন পর্যন্ত করোনায় শনাক্তের হার ১৩ থেকে ১৪ শতাংশের মধ্যে রয়েছে। যারা বড় ধরণের রোগে আক্রান্ত তাদের সতকর্তা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন তিনি।
ডিবিসি/এএমটি