জাতীয়, আইন ও কানুন

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড আমৃত্যু নাকি ৩০ বছর: রায় ১লা ডিসেম্বর

ময়ূখ

ডিবিসি নিউজ

মঙ্গলবার ২৪শে নভেম্বর ২০২০ ০৫:৫০:৪১ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অর্থ আমৃত্যু নাকি ৩০ বছর কারাবাস, তা নির্ধারণের জন্য করা রিভিউ আবেদনের ওপর আপিল বিভাগে শুনানি শেষ, ১লা ডিসেম্বর রায় দিবেন আপিল বিভাগ।

আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্ব ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই দিন ঠিক করেন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড কত বছর, সে বিষয়ে আপিল বিভাগের দুটি রায়ে দুই রকম সিদ্ধান্ত দেয়ায় বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে পুনর্বিবেচনার এই আবেদন করেন কারাবন্দি মানিকগঞ্জের আতাউর রহমান। বাংলাদেশের আইনে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হিসেবে ৩০ বছর বলা আছে, যা রেয়াত পাওয়ার পর সাড়ে ২২ বছর হয়।

ভারতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হিসেবে আমৃত্যু কারাদণ্ড করা হয়েছে। এটা আইন করে করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের আইনে ৩০ বছর বলা আছে। এটা যদি পরিবর্তন করতে হয় তবে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৫ (এ), ৪০১ ও ৪০২ ধারা এবং দণ্ডবিধির ৫৫ ধারা সংশোধন করতে হবে। এছাড়াও কারাবিধি সংশোধন করতে হবে।

সাভারে ২০০১ সালে জামান নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় ২০০৩ সালে ঢাকার একটি আদালত আতাউরের পাশাপাশি কামরুল ও আনোয়ার নামের আরও দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। এ সাজার বিরুদ্ধে আতাউর ও আনোয়ার হাইকোর্টে আপিল করেন।

হাইকোর্ট ২০০৭ সালে তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দেন। এর বিরুদ্ধেও আতাউরসহ আসামিরা আপিল করেন। শুনানি শেষে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ ২০১৭ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি আসামিদের দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন সাজা দেন।

পরে ওই বছরের ৬ই নভেম্বর রায়টি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়; সে রায়ে বলা হয়, দণ্ডবিধির ৫৩ ধারা ও ৪৫ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে আমৃত্যু কারাবাস। এর ফলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত সবাইকে আমৃত্যু কারাগারে থাকতে হবে।

আরও পড়ুন