যুক্তরাজ্যে অর্থ পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিশাল সম্পত্তি সাম্রাজ্যের পতন ঘটেছে। দেশটির ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি তাঁর সম্পদ জব্দ করার পর, এখন সেগুলো বিক্রি করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
সোমবার (১১ই আগস্ট) ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফ-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাইফুজ্জামানের মালিকানাধীন ছয়টি আবাসন কোম্পানি দেশটির প্রশাসনিক প্রক্রিয়ায় চলে গেছে। এসব কোম্পানির মাধ্যমে সে দেশে সাইফুজ্জামানের বিভিন্ন সম্পদ পরিচালিত হতো।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর প্রায় ১৭০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের একটি পোর্টফোলিও রয়েছে, যার মধ্যে ৩০০ টিরও বেশি সম্পত্তি অন্তর্ভুক্ত। বাংলাদেশের বর্তমান কর্তৃপক্ষের অনুরোধের ভিত্তিতে দেশটির ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি এই ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
জব্দকৃত সম্পদের মধ্যে উত্তর লন্ডনের সেন্ট জন'স উডে অবস্থিত একটি বিলাসবহুল ১১ মিলিয়ন পাউন্ডের বাড়ি এবং মধ্য লন্ডনের ফিটজরোভিয়ার একটি ফ্ল্যাট ব্লকও রয়েছে।
এখন যুক্তরাজ্যের সম্পদ ব্যবস্থাপনাপ্রতিষ্ঠান গ্র্যান্ট থর্নটনের প্রশাসকেরা সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পদের একটি অংশ বিক্রির দায়িত্ব পেয়েছেন।
সাইফুজ্জামানের এসব সম্পদ হলো লন্ডন ও ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পূর্বের বিভিন্ন শহরে থাকা আবাসিক ভবন। এসব সম্পদ বিক্রি থেকে যে অর্থ আসবে, তা ঋণদাতাদের অর্থ পরিশোধে ব্যয় করা হবে। ঋণদাতাদের মধ্যে সিঙ্গাপুরের ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান ডিবিএস এবং ব্রিটিশ আরব কমার্শিয়াল ব্যাংক রয়েছে।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী বরাবরই তাঁর বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। তিনি দাবি করেছেন যে, তিনি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ষড়যন্ত্রের শিকার এবং বৈধ অর্থ দিয়েই বিদেশে এসব সম্পত্তি কিনেছেন।
ডিবিসি/এমইউএ