আন্তর্জাতিক, ভারত

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্তে উদ্বিগ্ন ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ডিবিসি নিউজ

রবিবার ২১শে সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০১:০৯:৩৮ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন থেকে এইচ-ওয়ানবি ভিসা ফি আকস্মিকভাবে বাড়ানোর সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের ফলে মারাত্মক মানবিক সংকট তৈরি হতে পারে এবং বহু পরিবার সংকটের মুখে পড়তে পারে।

শনিবার এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, নতুন এই নীতির সম্পূর্ণ প্রভাব পর্যালোচনা করা হচ্ছে। তারা আশা প্রকাশ করে যে, মার্কিন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখবে এবং সৃষ্ট সংকট নিরসনে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। ট্রাম্প প্রশাসন সম্প্রতি নতুন এইচ-ওয়ানবি ভিসার জন্য বার্ষিক ১ লাখ ডলার ফি আরোপের ঘোষণা দেয়, যা রবিবার থেকেই কার্যকর হওয়ার কথা।

 

ভারতের শীর্ষ প্রযুক্তি বাণিজ্য সংস্থা ন্যাসকম এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে। ২৮৩ বিলিয়ন ডলারের ভারতীয় আইটি শিল্পের প্রতিনিধিত্বকারী এই সংস্থাটি জানিয়েছে, মাত্র একদিনের নোটিশে এই নীতি কার্যকর করায় ব্যবসা, পেশাদার এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এর ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলমান বিভিন্ন প্রকল্পে কর্মরত ভারতীয় প্রযুক্তিবিদদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং প্রকল্পের ধারাবাহিকতা ব্যাহত হবে। ন্যাসকমের মতে, এত বড় আকারের নীতিগত পরিবর্তন আনার আগে প্রস্তুতির জন্য পর্যাপ্ত সময় দেওয়া উচিত ছিল।

 

এই ঘোষণার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় প্রযুক্তি সংস্থাগুলো সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে। গোল্ডম্যান স্যাক্স, মাইক্রোসফট, জেপিমরগান এবং অ্যামাজনের মতো সংস্থাগুলো তাদের এইচ-ওয়ানবি ভিসাধারী কর্মীদের আপাতত আন্তর্জাতিক ভ্রমণ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে।

 

এইচ-ওয়ানবি ভিসা হলো একটি নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসা, যা মার্কিন সংস্থাগুলোকে প্রযুক্তি, বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের মতো বিশেষায়িত ক্ষেত্রে বিদেশি কর্মী নিয়োগের সুযোগ করে দেয়। গত বছর অনুমোদিত মোট এইচ-ওয়ানবি ভিসার ৭১ শতাংশই পেয়েছিলেন ভারতীয় নাগরিকরা। ভারতের পর দ্বিতীয় স্থানে থাকা চীনের নাগরিকরা পেয়েছেন ১১.৭ শতাংশ ভিসা।

 

তথ্যসূত্র: আল জাজিরা

ডিবিসি/এমএআর

আরও পড়ুন